AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Potato cultivation: আলু চাষ করতেন বলে অপয়া বলে দাগিয়ে ছিল গোটা গ্রাম, বাধ্য হয়ে চরম সিদ্ধান্ত তৃণমূল নেতার

Alipurduar: আলিপুরদুয়ার তপসিখাতার ১ নম্বর ব্লকের ঘটনা। সেখানে প্রায় ৯০ শতাংশ কৃষকই আলু চাষ করেন। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে'র ঘনিষ্ঠ প্রকাশ রায় আলু চাষ করলেই নাকি বাকি আলু- কৃষকদের ফলন কম হয়।

Potato cultivation: আলু চাষ করতেন বলে অপয়া বলে দাগিয়ে ছিল গোটা গ্রাম, বাধ্য হয়ে চরম সিদ্ধান্ত তৃণমূল নেতার
আলু চাষ নিয়ে কী কাণ্ডImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2025 | 11:45 AM
Share

আলিপুরদুয়ার: আলু চাষ নিয়ে আজব-কাণ্ড আলিপুরদুয়ারে। সেখানে কুসংস্কারের গেঁরোয় আলু চাষ না করতে বাধ্য হলেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, এমনকী গ্রামে পুজো দেওয়া হল যাতে তিনি আলু চাষ না করেন। কিন্তু কেন এমন ঘটনা? কোথায়ই বা এমন ঘটনা ঘটল?

আলিপুরদুয়ার তপসিখাতার ১ নম্বর ব্লকের ঘটনা। সেখানে প্রায় ৯০ শতাংশ কৃষকই আলু চাষ করেন। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে’র ঘনিষ্ঠ প্রকাশ রায় আলু চাষ করলেই নাকি বাকি আলু- কৃষকদের ফলন কম হয়।

অভিযোগ, প্রকাশ প্রতিবছর ২০/২২ বিঘে জমিতে আলু চাষ করতেন। তিনি আলু চাষ করায় নাকি অন্য কৃষকদের আলুর ফলন কম হয়। দাম পেতেন না। সেই থেকে বন্ধুবান্ধব ও আলু কৃষকদের কাছে অপয়া নামে খ্যাত হয়ে যান প্রকাশ। গ্রামের আলুচাষীরা সাফ জানিয়েছেন, এই প্রকাশ আলু চাষ করলেই আলুর ফলন হয় না, দাম পান না কৃষকেরা। এই ভাবে কয়েক বছর এই অপবাদ নিয়েই চলছিলেন তিনি।

তপসীখাতা এলাকার ৯০ শতাংশ কৃষকই আলু চাষ করেন। বর্তমানে এক গাড়ি ২০০ প্যাকেট আলুর দাম ৫০ হাজার টাকা। কেজি প্রতি ৬ টাকা। এলাকার কৃষকদের দাবি, আলুর ফলন বেড়ে যাওয়ার পরও দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। লাভের মুখ দেখছেন না তাঁরা। এর সব দোষ গিয়ে পড়ে প্রকাশবাবুর উপর।

আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের আলু চাষীদের বক্তব্য আলু কৃষক বলেন, “আমরা আলুর দাম পাই না। প্রকাশেরই এক্ষেত্রে দোষ আছে।” এ দিকে, এই অপবাদ নিয়ে কার্যত তিতিবিরক্ত ওই তৃণমূল নেতা। রাগে কার্যত আলু চাষই করেননি এই বছর। শুধু তাই নয়, দোষ কাটাতে কালী মন্দিরে দিলেন পুজোও। সেই পুজোর প্রসাদ আবার পাত পেড়ে খেল গোটা গ্রাম।

প্রকাশ রায় বলেন, “আমি চাই গ্রামের আলু চাষীদের উৎপাদন বাড়ুক। তাঁরা আলুর দাম পান। শুধু মাত্র তাঁদের কথা ভেবেই আমি আর আলু চাষ করব না। আমার দোষ কাটাতে আজ পুজা করলাম। গ্রামবাসীদের ডেকে কীর্তন করা হল। গ্রামের মানুষের কাছে কড়োজোরে প্রার্থনা করলাম। আমি আর আলু চাষ করব না। আমাকে যে অপবাদ দেওয়া হয়েছিল তা ঘোচানোর জন্য আমি পুজা ও কীর্তনের আয়োজন করেছি।”

আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের সম্পাদক ত্রিদিবেশ তালুকদার জানিয়েছেন, “পুরোটাই একটা কুসংঙ্কার। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও এই কুসংস্কার সমাজে রয়েছে ভেবেই আমায় আহত করছে। মানুষ আরও বেশি সচেতন হতে হবে।”