আলিপুরদুয়ার: বাগানে চা পাতা তুলছিলেন শ্রমিকরা। হঠাৎই ঝোঁপ ঠেলে লাফিয়ে পড়ল এক চিতাবাঘ। শনিবার সকালে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে ডুয়ার্সের মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের নাংডালা চা বাগানে। তবে সাহসিনী চা শ্রমিকরাও হার মানেননি। হাতের কাছে যা পেয়েছেন তা নিয়েই তেড়ে যান। অসম এই লড়াইয়ে অবশেষে পিছু হঠতে বাধ্য হয় চিতাবাঘটি। তবে এক চা শ্রমিক গুরুতর আহত হন। তাঁকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন ওই মহিলা চা শ্রমিক। ডুয়ার্সের মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের নাংডালা চা বাগান। এদিন সকালে শ্রমিকরা সেখানে কাজ করছিলেন। চা পাতা তুলছিলেন মহিলা চা শ্রমিকরা। হঠাৎই একটি চিতাবাঘ চা শ্রমিক সুমিত্রা লাকড়ার ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। চিতাবাঘের সঙ্গে চলে মরণ বাঁচন লড়াই। মিনিট কয়েক চলে এই ‘যুদ্ধ’। প্রাণে বাঁচলেও ওই মহিলার আঘাত গুরুতর বলেই জানা গিয়েছে। বন দফতর তাঁর চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহনের আশ্বাস দিয়েছে।
এদিকে সুমিত্রার চিৎকার ততক্ষণে বাগানে কর্মরত অন্যান্য শ্রমিকরাও ছুটে আসেন। চা শ্রমিকরা তাঁদের হাতে থাকা ছাতা নিয়ে ধেয়ে যান। চিতাবাঘের সামনে ছাতা ঘোরাতে শুরু করলে ধাধা লেগে যায় তার চোখে। এরপরই পিছু হঠে সে। চিতাবাঘটি পালিয়ে গেলেই অন্যান্য শ্রমিকরা তাঁকে উদ্ধার করে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
চা বাগানে চিতাবাঘ আসায় পণ্ড হয়ে যায় বাগানের কাজ। আতঙ্ক ছড়ায় শ্রমিকদের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরা। দলগাঁও রেঞ্জের রেঞ্জার অশেষ পাল বলেন, “আহত মহিলার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে বন দফতর।”
সরস্বতী তিরকে নামে এক মহিলা শ্রমিক বলেন, “আমরা সকালে চা পাতা তুলছিলাম। হঠাৎই একটি চিতাবাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘাড়ের উপর। দাত নখ বের করে একেবারে ঘাড়ে লাফায়। এরপরই আমরা সকলে ছাতা নিয়ে ওর চোখের সামনে নাড়াতে থাকি। ও বোধহয় ভয় পেয়ে পালায়। এরপরই সকলের হইহই শুনে বাগান থেকে বেরিয়ে যায় চিতাবাঘটি।”