AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR: প্যারা টিচারও BLO? নিয়োগে বিরাট বড় অভিযোগ

পুরুলিয়ার বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লক। সেখানে সরকারিভাবে যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে SL NO 13 গাঁড়াফুসরো প্রাইমারি স্কুল-১ সহকারি শিক্ষক হিসেবে যাঁর নাম তালিকায় রয়েছে, তিনি কলাবতী মাহাতো।

SIR: প্যারা টিচারও BLO? নিয়োগে বিরাট বড় অভিযোগ
ইনি BLOImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2025 | 12:15 PM
Share

পুরুলিয়া: SIR শুরু হল না। শুধু জল্পনা-কল্পনা চলছে। তার মধ্যেই এবার ভয়ঙ্কর অভিযোগ। বিএলও (BLO) নিয়োগে উঠে এল বেনিয়ম। বিরোধী দলগুলির দাবি, সরকারি বিএলও তালিকায় পার্শ্ব শিক্ষকদের সহ শিক্ষক দেখিয়ে বিএলও-র কাজে পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা বাড়িতে বসেই সেরে ফেলছেন বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) কাজ।

কোথা থেকে আসছে এই অভিযোগ?

পুরুলিয়ার বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লক। সেখানে সরকারিভাবে যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে SL NO 13 গাঁড়াফুসরো প্রাইমারি স্কুল-১ সহকারি শিক্ষক হিসেবে যাঁর নাম তালিকায় রয়েছে, তিনি কলাবতী মাহাতো। তাঁকে সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে দেখানো হলেও বাস্তবে তিনি সহকারি শিক্ষিকা নন। তিনি একজন পার্শ্বশিক্ষিকা। বিষয়য়ি তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। কলাবতী বলেন, “আমি প্যারা টিচার। প্রথমে সমস্যা হচ্ছিল কাজে। এখন হচ্ছে না। মৃত ভোটার পেয়েছি ২০ থেকে ২৫ জন।

এছাড়াও ওই বিধানসভার SL NO. 18-তে ‘কানালি প্রাইমারি স্কুলের’ সহকারি শিক্ষক হিসেবে যাঁর নাম বিএলও তালিকায় রয়েছে তিনিও একজন পার্শ্বশিক্ষক। অথচ সরকারি তালিকায় তাঁকে সহকারি সরকারি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই ভাবেই সরকারি স্তরে জালিয়াতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সরকারি নিয়ম বলছে, কোনও পার্শ্বশিক্ষককে কোনও ভাবেই বিএলও পদে নিযুক্ত করা যায় না। কিন্তু তারপরও এই অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছে জেলা বিজেপি।

বিরোধীদের দাবি, সরকারিভাবে যে বিএলও তালিকা প্রকাশ হয়েছে জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের। সেই তালিকায় প্যারা টিচার থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নাম রয়েছে। অথচ সেই বুথে সরকারি কর্মী থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাদ দিয়ে এই সকল কর্মীদের নাম রাখা হয়েছে। সাংসদ পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্র জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “এই সরকারের আর থাকা উচিত নয়। সেই আতঙ্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকা শ্রমিকদের বেআইনি ভাবে নিয়োগ করেছেন ভোট পরিচালনার ব্যবস্থা করছেন। এতে তো পুরোপুরি ওরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করবেন। এর জন্যই অভিযোগ দিয়েছি। এটা শুধু পুরুলিয়া নয়, যেখানে যেখানে এমন হবে আমরা সরাব।”

এ বিষয়ে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতোর বক্তব্য, “যদি এই রকম হয়ে থাকে তাহলে তো বড়ো জালিয়াতি। আমরা তালিকা চেয়ে পাঠাচ্ছি। আমরা নির্বাচন কমিশন ছাড়াও প্রয়োজনীয় আইনিগত ববস্থাও নেওয়া হবে।” সিপিএম নেতা কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বলেন, “এটা করতেই পারে না। এটা এক প্রকার জালিয়াতি। এটা করা যায় না।পার্শ্বশিক্ষক সম্পূর্ণ চুক্তিভিত্তিক। তাঁদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।

রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের গলাতেও যেন একটু অন্যরকম সুর। যদি এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ERO বা AERO তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। একটা ভুল ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে সেটা সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনের যা গাইডলাইন অনুযায়ী বিএলও দের থাকা উচিত। বিএলএ দায়িত্বপ্রাপ্ত ও দলের সহ সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেস পুরুলিয়ার সুশেন মাঝি বলেন, “না শিক্ষকরা এই কাজের দায়িত্ব পায়। আর যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে ERO-র সঙ্গে কথা বলে বাকিটা তদন্ত করে দেখতে হবে।

পুরুলিয়া ১নম্বর ব্লকের বিডিও মনোজ মাইতি বলেন, “বলরামপুর বিধানসভার কেন্দ্রের আমাদের বুথস্তরে বিএলও নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই করা হয়েছে। বেনিয়মের কোনও প্রশ্নই নেই।”