হাওড়া: রাজ্যে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার’ দাবিতে গোটা রাজ্যব্যাপী নানা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। এদিন হাওড়া (Howrah) ছাডাও একাধিক জেলাতেই আয়োজন করা হয় মহামিছিলের। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে বারবারই শাসক তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। এমনকী, চলতি মাসেই যেখানে মমতা সরকার ৩.০-র বর্ষপূর্তিতে একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করেছে ঘাসফুল শিবির, সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তি হিসাবে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে মাঠে নেমেছে পদ্ম শিবির। এই উপলক্ষেই এদিন হাওড়ায় বড় মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। হাওড়া কদমতলা ময়দান থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত এদিন মিছিলের আয়োজন করা হয় হাওড়া সাংগঠনিক জেলার তরফে। এই মিছিলেই যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(BJP leader Shuvendu Adhikari)।
এদিকে অর্জুন সিং ইস্যুতে বিগত কয়েক দিন ধরেই অস্বস্তি বেড়েছে পদ্ম শিবিরের অন্দরে। এমনকী বাংলার পাট শিল্পের দুরাবস্থা নিয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদের লাগাতর কেন্দ্রকে আক্রমণে অস্বস্তি বেড়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। এমনকী প্রয়োজনে তিনি মমতার আন্দোলনে যোগ দেবেন বলেও ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে রেখেছেন। এমতাবস্থায় এবার, জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে ভাটপাড়ায় একটি শিব মন্দির উদ্বোধনে যোগ দেন অর্জুন। যা নিয়েই ফের তীব্র চাপানউতর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজৈনতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যে কোনও মুহূর্তে শিবির বদলাতে পারেন অর্জুন। এদিন হাওড়ার মিছিল থেকে এই বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা যায় শুভেন্দুকে।
এদিনের মিছিল থেকে অর্জুন প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “৪২টা সাংগঠনিক জেলাতেই এদিন বিজেপির মিছিল হয়। হিংসা মুক্ত রাজনীতি, ভয় মুক্ত বাংলা গড়ার দাবিতেই ‘সংকল্প যাত্রায়’ পথে নেমেছে আমাদের ছেলেরা। তবে ভারতীয় জনতা পার্টি সংকীর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিজেপি কখনওই তৃণমূলের মতো ওই কালচারে বিশ্বাস করে না। পারিবারিক, সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও বিধিনিষেধ নেই। গত দেড় বছর দল করতে গিয়ে আমি এটাই শিখেছি। কিন্তু, বর্তমানে কেন অর্জুন সিং তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে মন্দির উদ্বোধনে গিয়েছেন তা তিনিই বলতে পারবেন”।