Asansol: ৫০০ কোটি টাকারও বেশি জরিমানা, বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ পুরনিগমের
Asansol: একাধিক কারখানার মালিকের কাছে গিয়েছে জরিমানার নোটিস। কয়েক মাস আগেও আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিও এই দুই শিল্প তালুকে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
আসানসোল: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন সরকারি জায়গা দখল করে বেআইনি নির্মাণ করা যাবে না। সেই মতো কলকাতা হোক বা জেলা, পুরসভাগুলি জায়গায়-জায়গায় বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ করেছে। এবার পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া শিল্প তালুকে এগারোটি কারখানাকে জরিমানার নোটিস ধরিয়েছে আসানসোল পুরনিগম। বৈধ প্ল্যান ছাড়াই একাধিক নির্মাণ হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে আসানসোল পুরনিগম ৫০০ কোটি টাকারও বেশি জরিমানার নোটিস জারি করেছে এই কারখানাগুলিকে। এরপরই কারখানার মালিকরা জরিমানা মুকুবের আবেদন জানালেন মেয়রের কাছে। দেখা করেছেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে মেয়র সাফ জানিয়েছেন,বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে নয়ত, জরিমানা গুনতে হবে। ১৫ দিন সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে শিল্পপতিদের। তবে এই সবের মধ্যে ফাঁপড়ে পড়েছেন কারখানার কর্মরত শ্রমিকরা। যদি, কারখানাগুলি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কাজ হারাতে পারেন প্রায়…. শ্রমিক।
জামুরিয়া ও রানিগঞ্জ শিল্পতালুক এলাকা দু’টি আসানসোল পুরনিগমের আওতায়। সেখানেই একাধিক কারখানার মালিকের কাছে গিয়েছে জরিমানার নোটিস। কয়েক মাস আগেও আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিও এই দুই শিল্প তালুকে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি এই নির্মাণ ভাঙা নিয়ে আসানসোল পুরনিগমের সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। উৎসবের মরশুম শেষ হতে না হতেই ফলত ময়দানে নামল পুরনিগম।
মঙ্গলবার কারখানার মালিকদের এক প্রতিনিধি দল আসে পুরনিগমে। দেখা করেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সঙ্গে। অনুরোধ করেন বিষয়টিতে কিছুটা নমনীয় হওয়ার জন্য। তবে মেয়র তাঁদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ব্যাপারে কোনও ধরনের নমনীয়তা দেখানো হবে না। শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন,মালিকদের উচিত যতটা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে তা দিয়ে দেওয়া। অথবা বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা। এ ছাড়া আর কোনও বিকল্প রাস্তা নেই।” মেয়র স্পষ্টভাবে বলেন, “মানুষের জন্য শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগ করা উচিত। তবে তা নিয়ম মেনে করা উচিত। কেউ তাঁদের অবৈধ নির্মাণের অনুমতি দেয়নি।”
এ দিন,আসানসোলে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে এসে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “বেআইনি কোনও কাজকে জরিমানা করলে তা বৈধ হয়ে যায় না। আসলে এই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে তৃণমূল নেতারা।”