সোনামুখীতে তৃণমূলে বড় ভাঙন, বিপুল সংখ্যালঘু-সহ হাজার কর্মী-সমর্থক হাতছাড়া

Jan 08, 2021 | 11:51 AM

মূলত সংখ্যালঘু ও জঙ্গলমহলের ভোটকে হাতিয়ার করেই ভোটব্যাঙ্ককে সুদৃঢ় করতে চেয়েছিল তৃণমূল। সেক্ষেত্রে গত লোকসভা নির্বাচনেও দেখা যায় জঙ্গলমহল এলাকাগুলিতে তৃণমূল বিশেষ ভালো ফল করতে পারেনি।

সোনামুখীতে তৃণমূলে বড় ভাঙন,  বিপুল সংখ্যালঘু-সহ হাজার কর্মী-সমর্থক হাতছাড়া
সোনামুখীতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ

Follow Us

বাঁকুড়া: সোনামুখীতে তৃণমূলে বড় ভাঙন। এবার বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখী ব্লকের পিয়ারবেড়া পঞ্চায়েতের ৫০০ জন সংখ্যালঘু-সহ হাজার জন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের মধ্যে পিয়ারবেড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও সোনামুখী ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মধ্যক্ষ রয়েছেন । বিজেপি নেতা ব্রজ অধিকারীর নেতৃত্বে তাঁরা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মন্ত্রী বিধায়ক তো বটেই, তৃণমূলের একেবারে ‘রুট’স্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যেও ভাঙন ধরেছে। তৃণমূল ছাড়ার ঝোড়ো ইনিংস যেন অব্যাহত। একুশের নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে মরিয়া তৃণমূল। মূলত সংখ্যালঘু ও জঙ্গলমহলের ভোটকে হাতিয়ার করেই ভোটব্যাঙ্ককে সুদৃঢ় করতে চেয়েছিল তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই ফুরফুরা শরিফে ওয়াইসির আগমনে বেশ চাপে তৃণমূল। সংখ্যালঘু ভোট কাটাকাটি হওয়ার আশঙ্কা ছিলই। বাঁকুড়ার এই ভাঙন তৃণমূলের কপালে ভাঁজ বাড়াল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গত লোকসভা নির্বাচনেও দেখা যায় জঙ্গলমহল এলাকাগুলিতে তৃণমূল বিশেষ ভালো ফল করতে পারেনি। রেজাল্ট খারাপের কারণ নিয়ে অনেক কাটাছেঁড়া করা হয়। বদলানো হয় সাংগঠনিক কাঠামোকেও। কিন্তু বিজেপি যে স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এগোচ্ছে, তা যে তৃণমূলের কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং, তা আঁচ করতে পারছেন রাজনীতির কুশীলবরা। বৃহস্পতিবার যোগদানকারীদের হাতে পদ্ম পতাকা তুলে দেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি সুজিত অগাস্থি।

তিনি বলেন, “এই যোগদানের ফলে সোনামুখী বিধানসভা এলাকায় বিজেপির সংগঠন আরও বেশি মজবুত হল।”

আরও পড়ুন: আজ বাংলায় আসছে ভ্যাকসিন, মহড়া শুরুর তৎপরতা রাজ্য জুড়ে

তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অন্য কথা বলছে। তাঁদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কেউ বিজেপিতে যোগদান করেননি।সোনামুখীর তৃণমূল নেতা প্রকাশ সাহা বলেন, “বিজেপি এক হাজার জন জয়েন করার গল্প বলছে। আর যে সমস্ত নাম ওঁরা বলছেন ওই নামের সোনামুখী ব্লকে কেউ আছেন বলে আমার জানা নেই।” এছাড়াও তিনি বলেন সংখ্যালঘুরা এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন।”

Next Article