Elephants Attack: এক লহমায় দাঁতালের দল শেষ করে দিল প্রায় ৩০০ বিঘা জমির ধান, কৃষকদের কাঠগড়ায় বন দফতর
Elephants Attack: আচমকা এভাবে পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না কৃষকরা। কৃষকদের অনেকদের দাবি, মহাজন অথবা স্থানীয় সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে তাঁরা বোরো ধান চাষ করেছিলেন।

বিষ্ণুপুর: পাকা ধানে মই দিয়ে গেল হাতির দল। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার ডিহিলাপুর মৌজায়। প্রায় ৬২টি হাতির তাণ্ডবে ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়েছে এলাকার প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বিঘা জমির বোরো ধান। মাথায় হাত কৃষকদের। চাপানউতোরের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর।
সূত্রের খবর, প্রায় সাত মাস ধরে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের পাবয়ার জঙ্গলে ঘুরছিল দাঁতালগুলি। বুধবার বিকাল থেকে ওই হাতির দল বিষ্ণুপুর হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফেরার পথ ধরে। বন দফতরের কড়া নজরদারির মধ্যে হাতির দল বড়জোড়া থেকে বিষ্ণুপুরের দিকে যাওয়ার পথেই ঘটে বিপত্তি। পাত্রসায়ের ব্লকের কুশদ্বীপ অঞ্চলের ডিহিলাপাড়া গ্রাম লাগোয়া প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বিঘে জমির পাকা বোরো ধান মাড়িয়ে দেয়। মাঠের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায় বিঘার পর বিঘা জমির ধান।
আচমকা এভাবে পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না কৃষকরা। কৃষকদের অনেকদের দাবি, মহাজন অথবা স্থানীয় সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে তাঁরা বোরো ধান চাষ করেছিলেন। এখন হাতির দল বোরো ধানের জমি মাড়িয়ে দেওয়ায় সেই ঋণ তাঁরা কিভাবে শোধ করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। এই ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির জন্য বন দফতরের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। তাঁদের অভিযোগ বন দফতর হাতির দলকে ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে এ ছবি দেখতে হতো না। এত ধান এক লহমায় শেষ হয়ে যেত না।





