Fraud Case: দেবোত্তর সম্পত্তিতেও জালিয়াতি, শরীরে ভয় বলে কিছুই কি নেই?

Bishnupur: দেবোত্তর সম্পত্তি ফিরে পেতে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সেবাইতরা। অভিযোগকারী শুভজিত ভট্টাচার্য বলেন, বিষ্ণুপুর থানার ময়রাপুকুর মৌজায় জেএল নম্বর ১০৫ ও খতিয়ান নম্বর ৭৪য়ে 'শ্রী শ্রী গণেশ ঠাকুর জিউ'-এর নামে দেবোত্তর সম্পত্তি আছে।

Fraud Case: দেবোত্তর সম্পত্তিতেও জালিয়াতি, শরীরে ভয় বলে কিছুই কি নেই?
অভিযোগকারী শুভজিৎ ভট্টাচার্য। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2024 | 6:00 AM

বাঁকুড়া: দেবোত্তর সম্পত্তির দলিল জালিয়াতি করে জমি দখলের অভিযোগ উঠল মল্লগড়ে। দেবোত্তর রেকর্ড জমি চুরির অভিযোগ উঠেছে। সেই জমি ফিরে পেতে এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন সেবাইতরা। কিন্তু দেবোত্তর সম্পত্তি কীভাবে নিজের নামে রেকর্ড করে নিল কেউ তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

অভিযোগ, ৮৭ শতক দেবোত্তর জমি চুরি জালিয়াতি করে দখল করে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এই বিপুল সম্পত্তি বিষ্ণুপুরের এক ব্যক্তি নিজের নামে করে নেন বলে অভিযোগ। এমনও অভিযোগ উঠছে, বিষ্ণুপুরজুড়ে অবৈধ জমি কারবারিদের দাপট বাড়ছে।

দেবোত্তর সম্পত্তি ফিরে পেতে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সেবাইতরা। অভিযোগকারী শুভজিত ভট্টাচার্য বলেন, বিষ্ণুপুর থানার ময়রাপুকুর মৌজায় জেএল নম্বর ১০৫ ও খতিয়ান নম্বর ৭৪য়ে ‘শ্রী শ্রী গণেশ ঠাকুর জিউ’-এর নামে দেবোত্তর সম্পত্তি আছে।

তিনটি দাগে ৮৭ শতক সম্পত্তি বিষ্ণুপুরের ওই ব্যক্তি নিজের নামে করে নেন বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী শুভজিৎ ভট্টাচার্যের কথায়, “আমাদের দেবোত্তর সম্পত্তি ময়রাপুকুর মৌজায়। জাল দলিলের মাধ্যমে কিছু লোক তা রেকর্ড করে নেয়। তার মধ্যে একটা দলিল আমরা তুলেছি যেটা ১৯৮৪ সালের। যার নামে দলিল হয়েছে তার বয়স ৩১ হবে খুব বেশি হলে। মানে ১৯৮৪ সালে সে জন্মায়ইনি। অথচ তার নামে রেকর্ড। জালিয়াতি কোথায় হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে।”

অভিযোগকারীর আইনজীবী কল্পনা কোলে বলেন, “শুভজিৎ ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন ওনাদের দেবোত্তর সম্পত্তির ভুয়ো দলিল তৈরি করে অভিযুক্ত নিজের নামে করে নিয়েছেন। আজ আমরা আদালতে মামলা করেছি।” তবে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে অভিযোগকারীর বাবার বক্তব্য, “এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না।”

তবে এই জালিয়াতি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা শঙ্খজিৎ রায় বলেন, পরিবর্তনের সরকারে সবই সম্ভব। এরা পারে না এমন কোনও কাজ নেই। জালিয়াতির নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে এরা। জালিয়াতদের মদতও দেয়। পাল্টা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁদের দল কোনও বেনিয়মকে বরদাস্ত করে না। অতীতেও তা দেখা গিয়েছে, আগামিতেও তা দেখা যাবে। আর বিজেপি অভিযোগ ছাড়া কিছু করতে পারেও না, করারও নেই। এলাকার লোকজনের বক্তব্য, দেবোত্তর সম্পত্তিতেও জালিয়াতি? দেবতার জন্য অর্পণ করা জমিতেও জালিয়াতি কারবার?