AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bad Road: রাস্তা দেখে আর এল না অ্যাম্বুলেন্স! ফের খাটিয়ায় শুয়ে হাসপাতালে রোগী, এবার ছবি বাঁকুড়ার

Bad Road: বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের ব্রজরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়দা মোড় থেকে বেলডাঙ্গা গ্রামের দূরত্ব মেরেকেটে ৩ কিলোমিটার। এই রাস্তা ধরে শুধু বেলডাঙ্গা গ্রামের মানুষ নয়, যাতায়াত করেন আশপাশের ধানসাত, ইলামবাজার, মল্লিকডিহি, নয়দা ও জনড়া গ্রামের মানুষও।

Bad Road: রাস্তা দেখে আর এল না অ্যাম্বুলেন্স! ফের খাটিয়ায় শুয়ে হাসপাতালে রোগী, এবার ছবি বাঁকুড়ার
ক্ষোভ বাড়ছে নাগরিক মহলে Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2025 | 3:55 PM
Share

বাঁকুড়া: বর্ষা এলেই রাস্তার বেহাল ছবিগুলো যেন বাংলার মানুষের বড্ড চেনা। পশ্চিম মেদিনীপুর হোক মুর্শিদাবাদ। বিগত কয়েকদিনে আম-আদমির চরম দুর্দশার ছবিটা সামনে চলে এসেছে। এবার আরও এক ভয়ঙ্কর ছবি উঠে এল বাঁকুড়া থেকে। গ্রাম থেকে বড় রাস্তা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। জায়গায় জায়গায় জমে রয়েছে এক হাঁটু পর্যন্ত জল। বর্ষা এলেই সমস্যা আরও তীব্র হয়। এলাকার  বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার আবেদন জানিয়েও সেই বেহাল সড়কের হাল ফেরেনি। গাড়ি তো দূরের কথা, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্সও। অগত্যা এবার অ্যাম্বুলেন্স না পৌঁছানোয় দড়ির খাটিয়াকে ডুলি তৈরি করে সেই ডুলিতে শুইয়ে রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলেন গ্রামের মানুষ। এমনই ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের বেলডাঙ্গা গ্রামে। 

বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের ব্রজরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়দা মোড় থেকে বেলডাঙ্গা গ্রামের দূরত্ব মেরেকেটে ৩ কিলোমিটার। এই রাস্তা ধরে শুধু বেলডাঙ্গা গ্রামের মানুষ নয়, যাতায়াত করেন আশপাশের ধানসাত, ইলামবাজার, মল্লিকডিহি, নয়দা ও জনড়া গ্রামের মানুষও। কিন্তু সেই রাস্তার অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত বেহাল। কাঁচা ওই রাস্তায় জায়গায় জায়গায় জমে রয়েছে হাঁটু সমান জল-কাদা। রাস্তার দু’পাশে জল বয়ে যাওয়ায় এতটাই গর্ত হয়েছে যে সেই রাস্তা দিয়ে কোনও চারচাকা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা কার্যত অসম্ভব। কোনওমতে সাইকেল পা পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। 

এদিকে এই রাস্তা দিয়ে একাধারে যেমন প্রচুর স্কুল পড়ুয়ার যাতায়াত রয়েছে, তেমনই একাধিক গ্রামের মানুষেরও যাতায়াত রয়েছে। বারবার ওই রাস্তা সারাইয়ের আবেদন নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি বলেই অভিযোগ। এরই মাঝে এদিন সকালে গ্রামের এক বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হলেও কোনও অ্যাম্বুলেন্স তো বটেই, কোনও চারচাকাও বেলডাঙ্গা গ্রামে আসতে চায়নি। অগত্যা স্থানীয়রা দড়ির খাটটিকে বেঁধে ডুলির মতো করে রোগী শুইয়ে নিয়ে যান গ্রাম থেকে বড় রাস্তা পর্যন্ত। সেখান থেকে হাসরাতালে। এ ছবি সামনে আসতেই তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে নাগরিক মহলেও। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কবে ফেরে রাস্তার হাল।