বাঁকুড়া: ২০১৯ সালের পর ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করে ‘পাপ’ করেছেন বাঁকুড়ার মানুষ। বাঁকুড়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে মানুষকে ‘পাপের প্রায়শ্চিত্ত’ করতে হবে বলেন তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “২০১৯ ও ২A০২১ সালে বাঁকুড়ার মানুষকে পাশে পায়নি তৃণমূল। ২০২৩ পাশে না পেলে বাঁকুড়ার মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে তৃণমূলকে পাশে পাবে না।” ওন্দার সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে বাঁকুড়ার মানুষ ভোট না দিলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হতে পারে জেলার মানুষ। সেই হুঁশিয়ারিই আগাম দিয়ে রাখলেন অভিষেক।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত জঙ্গলমহলের জেলা বাঁকুড়া ছিল তৃণমূলের গড়। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে এই জেলায় জোর ধাক্কা খায় তৃণমূল। দুটি আসনই হাতছাড়া হয় ঘাসফুলের। ২০২১ সালেও তৃণমূলের এই ধস অব্যহত থাকে। ২০২১ সালে বাঁকুড়া জেলায় ১২ টির মধ্যে ৮ টি আসনই হাতছাড়া হয় তৃণমূলের।
পুরসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার তিনটি পুরসভায় তৃণমূল জয় পেলেও গ্রামীণ ভোটব্যাঙ্কের পরীক্ষা করার সুযোগ পায়নি তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে যথেষ্ট চিন্তায় ঘাসফুল শিবির। শিক্ষক নিয়োগ থেকে আবাস সম্প্রতি রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসায় গ্রামীণ ভোটব্যাঙ্কেও তার প্রভাব পড়তে পারে, বিষয়টি নিয়ে সংশয়ে রয়েছে তৃণমূলও।
বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার বক্তব্য, “হুমকি দিচ্ছেন। মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। মানুষ আসলে পিসির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ করেছেন। মানুষই বিচার করছে, তার রায় বুঝতে পেরেছেন। তাই জন্য হুমকি দিচ্ছেন।” যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবী এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি নয় তিনি তাঁর অভিমানের কথাই তুলে ধরেছেন। তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “ভোট হয়তো পাইনি আমরা। কিন্তু এখানকার রাস্তাঘাট দেখুন, সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, সব মানুষ পাচ্ছে। কিন্তু মানুষ কেন ভুল বুঝছে,সেটাই ভেবে দেখতে বলেছেন। এটা অভিমান থেকে বলেছেন। এটা অভিমানের কথা।”