AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: ভুয়ো ST শংসাপত্র দিয়ে ভর্তি, ডাক্তারির চতুর্থ বর্ষের ছাত্রীকে বহিষ্কার করল বাঁকুড়ার মেডিক্যাল কলেজ

Bankura: বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে নিট উত্তীর্ণ হয়ে এসটি সংরক্ষিত আসনে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন জুহি কোলে নামের এক ছাত্রী।

Bankura:  ভুয়ো ST শংসাপত্র দিয়ে ভর্তি, ডাক্তারির চতুর্থ বর্ষের ছাত্রীকে বহিষ্কার করল  বাঁকুড়ার মেডিক্যাল কলেজ
ছাত্রীর ভুয়ো শংসাপত্র, ডান দিকে কলেজের অধ্যক্ষ Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2025 | 5:01 PM
Share

বাঁকুড়া: ভুয়ো এসটি শংসাপত্র বের করে বিনা বাধায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন জুহি কোলে। চার বছর ধরে সেখানে ডাক্তারি পড়ার পর অবশেষে ওই সংশাপত্র জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রতারণার ঘটনায় ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে বাঁকুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে নিট উত্তীর্ণ হয়ে এসটি সংরক্ষিত আসনে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন জুহি কোলে নামের এক ছাত্রী। ছাত্রীর পদবী ও জাতিগত সংশাপত্র দেখে সন্দেহ হয় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের। ওই শংসাপত্র জলপাইগুড়ি জেলা থেকে ইস্যু হওয়ায় সেখানের মহকুমা শাসকের কাছে তা যাচাইয়ের জন্য পাঠায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ।

শংসাপত্র যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয় অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরেও। সম্প্রতি দুই দফতর থেকেই জানানো হয় জুহি কোলের ব্যবহার করা শংসাপত্র জাল। এরপরই বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামে আদিবাসীরা। ডাক্তারির চতুর্থ বর্ষে পাঠরতা ওই ছাত্রীকে অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবিতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ঘেরাও করে আদিবাসীরা বিক্ষোভ দেখান । চাপে পড়ে অবশেষে স্বাস্থ্য ভবন সোমবার বিকালে ওই ছাত্রীকে বহিষ্কারের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজকে নির্দেশ দেয়। এরপরই ওই ছাত্রীকে বহিষ্কারের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে বাঁকুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এই ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই একাধিক প্রশ্ন সামনে এসেছে? প্রথমত ওই ছাত্রী কীভাবে জাল জাতিগত শংসাপত্র পেলেন? তবে কী এর পিছনেও রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে কোনও জালিয়াত চক্র? দ্বিতীয়ত ওই ছাত্রীর শংসাপত্র জাল না আসল তা খুঁজে বের করতে কেন চার বছর সময় লাগল? এক্ষেত্রেও কী ছাত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছিল? বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “২০২২ সালের শেষের দিকে ভর্তি হয়েছিল। সার্টিফিকেট যেটা দিয়েছিল, পরে দেখা যায়, সেটা সন্দেহজনক। স্বাস্থ্য ভবনের নজরেই তদন্ত হয়। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ এসে যায়। নির্দেশ আসামাত্র ওই ছাত্রীকে রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে।”