বাঁকুড়া: কালী পুজোর চাঁদা নিয়ে বচসার জেরে এলাকার মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে মারধর ও বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। অবশেষে সেই ঘটনায় গ্রেফতার হলেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা। বৃহস্পতিবার বিজেপির বাঁকুড়ার কোতুলপুর ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি বিকাশ দে-সহ তাঁর দুই সঙ্গীকে জয়পুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। বিজেপি নেতা গ্রেফতার হতেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ নভেম্বর কালী পুজোর চাঁদা নিয়ে জয়পুর থানার বালিডোবা গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন রাজকুমার কুণ্ডুর সঙ্গে বচসা হয় বিজেপির কোতুলপুর ৪ নম্বর মন্ডলের সহ সভাপতি বিকাশ দে-সহ তাঁর সঙ্গীদের। এই ঘটনার জেরে পরে বিকাশ দে সহ তাঁর ৪ সঙ্গী রাজকুমারকে মারধর করে একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সেই সময় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবককে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজকুমারকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
গত ৭ নভেম্বর চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই বিজেপি নেতা বিকাশ দে সহ তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায় মৃতের পরিবার। অভিযোগ দায়েরের পরে পরেই বিকাশ দে-র এক সঙ্গীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও বিকাশ দের এতদিন কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। পুলিশ বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে বিকাশ দে সহ তাঁর আরও ২ সঙ্গীকে গ্রেফতার করে জয়পুর থানার পুলিশ। আজ ধৃতদের বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। এই ঘটনায় ফের একবার বিজপিকে বিঁধতে কসুর করেনি তৃনমূল। অপরাধ করলে আইন আইনের পথে চলবে বলছে বিজেপি।
তৃনমূলের ব্লক সভাপতি কৌশিক বটব্যাল বলেন, “একটা সামান্য চাঁদা নিয়ে ঝামেলা। তা থেকেই এত নৃশংসতা। এটা পরিবারই অভিযোগ করছে, আমরা না। বিষ খাইয়ে মেরে ফেলল। দীর্ঘদিন ধরে খোঁজা হচ্ছিল। পার্টি অফিস থেকেই পাওয়া গিয়েছে। বিজেপির কাজ অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া।”
যদিও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, “অপরাধীর পাশে দল কখনই থাকবে না। বিরোধী দল করে বলে পুলিশ ফাঁসাচ্ছে কিনা, সেটাও দেখার রয়েছে।”