বাঁকুড়া: তুমুল অশান্তি মা-বাবার মধ্যে। কোনও ভাবেই সেই অশান্তি থামছিল না। শেষে ঘর থেকে মদ্যপ অবস্থায় বেরিয়ে এল দম্পতির বড় ছেলে। অভিযোগ, বাবার গলা টিপে ধরে সে। তারপর বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে তাঁকে।
বাঁকুড়ার জয়পুর থানার মাগুরা গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম রাখাল দাস (৬২)। সোমবার রাত্রিবেলা দোকানের কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে তাঁর সঙ্গে স্ত্রী-র অশান্তি শুরু হয়। সেই ঝগড়া চরম আকার নিলে অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বাবার টু্ঁটি টিপে ধরে বড় ছেলে সুমন দাস। পরে চিৎকারে ছোট ছেলে বাবাকে ছাড়াতে গেলে লাঠি দিয়ে ভাই ও বাবাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন রাখাল। পরে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।আজ সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় রাখাল দাসের।
ঘটনার পর জয়পুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত ছেলে সুমনকে গ্রেফতার করে। আজ ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে এসডিপিও বিষ্ণুপুর কুতুবউদ্দিন খান বলেন, “পারিবারিক অশান্তি হচ্ছিল। এর মধ্যে যে ছেলে সে বাবাকে লাঠি দিয়ে মেরেছে। ওকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।”