JU: অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির ফোন নম্বরই জানেন না অনেকে, UGC-র রিপোর্ট জমা পড়ল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকে

Hirak Mukherjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 14, 2023 | 3:48 PM

JU: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকে জমা দেওয়া ইউজিসির রিপোর্টে সেই বেনিয়মগুলির উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আগামীতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।

JU: অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির ফোন নম্বরই জানেন না অনেকে, UGC-র রিপোর্ট জমা পড়ল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকে
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির নম্বর
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া: ফোন নম্বর চালু হয়েছে বটে, তবে আদৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের কত জন পড়ুয়া জানেন অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির ফোন নম্বর? ইউজিসি-র প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট নেতিবাচক। আদতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির ফোন নম্বরই জানেন না। ইউজিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। যাদবপুরে র‌্যাগিংকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে একাধিক বেনিয়ম খুঁজে পেয়েছে ইউজিসির বিশেষ দল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকে জমা দেওয়া ইউজিসির রিপোর্টে সেই বেনিয়মগুলির উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আগামীতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের পর ইউজিসির দলের যে বেনিয়মগুলি নজরে এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনও অধ্যাপককে ডিনের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ডিন শুধুমাত্র একজন প্রশাসনিক আধিকারিক।

দ্বিতীয়ত, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির হেল্পলাইনের ফোন নম্বরই জানেন না। তৃতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা জানেনই না যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড কার্যকর রয়েছে কিনা। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, ইউজিসির এই পর্যবেক্ষণ থেকেই পরিষ্কার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড গত ৬ মাস ধরে কার্যকর ছিল না।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের আরও দাবি, ইউজিসি তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে , যাদবপুরের ১০ টি হস্টেল ওয়ার্ডেন পদের মধ্যে ৯ টিতেই রয়েছেন চুক্তিভিত্তিক কর্মী। যা নিয়ম বিরুদ্ধ বলে দাবি করেছেন সুভাষ সরকার। সুভাষ সরকারের বক্তব্য, ইউজিসির তরফে এই রিপোর্ট পাওয়ার পর তার ভিত্তিতে আগামীতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।

Next Article