Bankura Incident: পুজো নিয়ে ঝামেলা, প্রৌঢ়কে ঘুসি মেরে মর্মান্তিক পরিণতির শিকার যুবক
Bankura Incident: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে গ্রামের পুকুর পাড়ে পুজো করা নিয়ে গোগড়া গ্রামের বছর তিরিশের যুবক দয়াময় মালের সঙ্গে বচসা হয় স্থানীয় বছর পঞ্চাশের তপন দে-র।
বাঁকুড়া: বচসা আর তার জেরে প্রৌঢ়ের নাকে ঘুসি মারার অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। পাল্টা নৃশংস মারে হাত পা ভাঙল যুবকের। পঞ্চায়েত প্রধানের নিদানেই এমন মার দাবি অভিযুক্তের পরিবারের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। ঠাকুর পুজো করা নিয়ে গ্রামেরই এক প্রৌঢ়ের সাথে বচসা হয়েছিল যুবকের । বচসার জেরে প্রৌঢ়কে মারধর করে ওই যুবক। তার বদলা হিসাবে যুবককে মাটিতে ফেলে নৃশংস ভাবে মারধর করে হাত পা ভেঙে দিল প্রৌঢ়ের পরিবারের লোকজন। অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের নিদানেই এই মারধর করা হয়েছে। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ মারধরের ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। বাঁকুড়ার ওন্দা থানার গোগড়া গ্রামের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ধৃত তিন জনকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে গ্রামের পুকুর পাড়ে পুজো করা নিয়ে গোগড়া গ্রামের বছর তিরিশের যুবক দয়াময় মালের সঙ্গে বচসা হয় স্থানীয় বছর পঞ্চাশের তপন দের। অভিযোগ, বচসা চরমে উঠলে তপনের নাকে ঘুসি মারে দয়াময়। বাড়িতে ফিরে তপন দে ঘটনার কথা জানান। এরপরই প্রতিকার চাইতে গ্রামেরই বাসিন্দা ওন্দা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিঠু মালের কাছে যান পরিবারের লোকজন।
অভিযোগ, তপন তপরিবারের লোকজন ও বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা দয়াময় মালের ওপরে চড়াও হয়ে বাঁশ, রড ও লাঠি দিয়ে নৃশংস ভাবে মারধর করে মাঠের মাঝে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় সূত্রে ঘটনার খবর পেয়ে ওই মাঠ থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দয়াময় মালকে উদ্ধার করে প্রথমে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তীতে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে তপনকেও ভর্তি করা হয় ওন্দা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। দয়াময়ের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ওন্দা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।