AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Flood: বন্যা হলে খুশি হন বাংলার এই এলাকার লোকজন, কারণ জানলে অবাক হবেন

Bankura: দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে ফি বছর ডুবে যায় এ রাজ্যের পাঁচটি জেলার একাংশ। বন্যায় বসত বাড়ি সহ ঘটি বাটি হারিয়ে কার্যত পথে বসে ওই পাঁচ জেলার হাজার হাজার মানুষ। ফলে বর্ষা এলেই জল ছাড়ার আশঙ্কা তাঁদের তাড়া করে বেড়ায়।

Flood: বন্যা হলে খুশি হন বাংলার এই এলাকার লোকজন, কারণ জানলে অবাক হবেন
বাঁকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2025 | 12:04 PM
Share

বাঁকুড়া: বর্ষায় বন্যা পরিস্থিতি বাংলায়। ইতিমধ্যেই বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। তবে এই বন্যাতেও কারও পৌষ মাস, তখন আবার কারও সর্বনাশ। বস্তুত, দামোদরের-দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে সেচ দফতর জল ছাড়া শুরু করলেই বন্যার আশঙ্কায় কাঁপতে থাকে এ রাজ্যের বাঁকুড়া,দুই বর্ধমান, হুগলি এমনকি হাওড়া জেলার একাংশের মানুষ। কিন্তু দুর্গাপুর ব্যরেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হলেই বাড়তি উপার্জন শুরু হয় বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের নিত্যানন্দপুর এলাকার নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের সঙ্গে ভেসে আসা বিপুল পরিমাণ মাছ ধরে বছরভরের বাড়তি উপার্জন ঘরে তোলেন ওই এলাকার মানুষ। একেই বোধহয় বলে কারো পৌষমাস তো কারো সর্বনাশ।

দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে ফি বছর ডুবে যায় এ রাজ্যের পাঁচটি জেলার একাংশ। বন্যায় বসত বাড়ি সহ ঘটি বাটি হারিয়ে কার্যত পথে বসে ওই পাঁচ জেলার হাজার হাজার মানুষ। ফলে বর্ষা এলেই জল ছাড়ার আশঙ্কা তাঁদের তাড়া করে বেড়ায়। কিন্তু দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হলেই মুখে হাসি ফোটে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের নিত্যানন্দপুর গ্রামের মানুষদের। কারণ দুর্গাপুর ব্যরেজের নিচে দামোদর নদে সারা বছর জল থাকে না। ফলে হাজার চেষ্টা করেও সে সময় মাছের দেখা পান না নিত্যানন্দপুর গ্রামের মৎস্যজীবী মানুষেরা। তবে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়লেই দামোদর নদ বইতে শুরু করে কানায় কানায়। সঙ্গে নিয়ে আসে বিপুল পরিমাণ মাছ। রুই, কাতলা, মৃগেলের পাশাপাশি জলের তোড়ে নদীতে আসে বোয়াল, কাজলি, ট্যাংরা সহ অন্যান্য মাছও। মাঝেমধ্যে নদীতে দেখা মেলে পথ ভূলে চলে আসা ইলিশ, ভেটকিরও।

স্বাভাবিকভাবেই দুর্গাপুর ব্যরেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হলেই নিজেদের পালতোলা নৌকা প্রয়োজন মতো মেরামত করে বিভিন্ন ধরনের জাল নিয়ে নদীতে নেমে পড়েন নিত্যানন্দপুরের মৎস্যশিকারীরা। দিনভর ভরা দামোদরে বুকে জাল ফেলে তুলে আনেন কুইন্ট্যাল কুইন্ট্যাল মাছ। এই সময় নিত্যানন্দপুর এলাকায় দামোদরের ঘাটে যেন মাছের মেলা বসে যায়। সারাবছর হা পিত্যেশ করে বসে থাকা মৎস্যজীবীরা এই সময় বছর ভরের উপার্জন ঘরে তোলেন। বাড়তি উপার্জনে কিছুটা হলেও এই সময় মুখে হাসি ফোটে গরিব মৎস্যজীবীদের পরিবারে।