Bankura: উপনির্বাচনে ‘ডান্ডা নিয়ে ট্রিটমেন্টের’ নিদান সুকান্তর
Bankura: নিজের দলের ভোটকে বাক্সে ফেলাতে বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে তৃনমূল বিজেপি দুই দলই। আর সেই কৌশল কর্মীদের জানাতে গিয়েই মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যেই মুখের লাগাম হারাচ্ছেন দুই দলের নেতারা।
বাঁকুড়া: আগামী ১৩ নভেম্বর বাঁকুড়ার তালডাংড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন। রাঢ় বঙ্গের এই আসনে জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া ডান বাম সব শিবিরই। প্রচারের মাঝেই চলছে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। ভোটের দিনে দলের কর্মীদের কী ভূমিকা হবে তা বলতে গিয়ে প্রকাশ্যেই মুখের লাগাম হারাচ্ছেন অনেকেই। কেউ ‘ডান্ডা দিয়ে ট্রিটমেন্টের’ হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তো, কেউ ‘আধবেলা খেয়েও যন্ত্র কেনার’ পরামর্শ দিচ্ছেন। কেউ আবার ভোটের লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের প্রভাবিত করে নিজেদের ভোট বাক্স ভরানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।
নিজের দলের ভোটকে বাক্সে ফেলাতে বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে তৃনমূল বিজেপি দুই দলই। আর সেই কৌশল কর্মীদের জানাতে গিয়েই মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যেই মুখের লাগাম হারাচ্ছেন দুই দলের নেতারা। বুধবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার তালডাংরায় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সভা করতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। মানুষ যে রায় দেবে তা আমরা মাথা পেতে নেব। কিন্তু তৃণমূল বুথে ঢুকে গন্ডগোল করলে আপনারা ঝান্ডার সঙ্গে বড়বড় ডান্ডা রাখবেন। ট্রিটমেন্ট করে দেবেন। বাকি ব্যবস্থা আমরা করে দেব।”
ওই মঞ্চেই রাজ্যের নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে বাঁকুড়ার পদ্ম বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা বলেন, ” আপনাদের একবেলা খেয়ে একবেলার টাকা জমিয়ে যন্ত্র কিনতে হবে। তারপর তৃনমূলের কেউ চোখ তুলে তাকালে সেই চোখ উপড়ে ফেলতে হবে”। বিজেপি নেতাদের এই বক্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃনমূল।
বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “ভোটের দিন দলের মহিলা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে তৃণমূলের ছাপ দেওয়া দেশলাই খাপ এবং তৃনমূলের ছাপ দেওয়া দেবতার সিঁদুর তুলে দিতে হবে। ভোটের দিন লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষকে তৃণমূলের পক্ষে ভোটদানের আবেদন জানাতে হবে”।