Bankura: শিশুদের মধ্যেই ছড়াচ্ছে সবচেয়ে বেশি, বাঁকুড়ায় ছড়াচ্ছে আতঙ্ক
Bankura: ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহ দুই আগে থেকে। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের জামিরাপাড়া গ্রামে একের পর এক শিশুর শরীরে জন্ডিসের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। রক্ত পরীক্ষায় জানা যায়, জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছে ওই শিশুরা। এরপর থেকে দ্রুত বাড়তে শুরু করে আক্রান্তের সংখ্যা।
বাঁকুড়া: প্রতিদিন জন্ডিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গ্রামবাসীদের দাবী ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তদের একটা বড় অংশই শিশু। আতঙ্কিত গোটা গ্রাম। ঘটনা বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের জামিরাপাড়া গ্রামের। জন্ডিসের কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই গ্রামের পানীয় জলের প্রতিটি উৎস থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতর পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। গ্রামে শিবির করে সংগ্রহ করা হয়েছে গ্রামবাসীদের রক্তের নমুনাও।
ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহ দুই আগে থেকে। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের জামিরাপাড়া গ্রামে একের পর এক শিশুর শরীরে জন্ডিসের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। রক্ত পরীক্ষায় জানা যায়, জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছে ওই শিশুরা। এরপর থেকে দ্রুত বাড়তে শুরু করে আক্রান্তের সংখ্যা। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে খবর পেয়ে এলাকায় মেডিক্যল টিম পাঠায় স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গ্রামে যান খাতড়ার মহকুমা শাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
স্বাস্থ্য দফতরের টিম গ্রামে গিয়ে উপসর্গ থাকা গ্রামবাসীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। জন্ডিসের কারণ খুঁজতে সংগ্রহ করা হয় গ্রামে থাকা একাধিক টিউবওয়েল, সাব মার্সেবল ও পুকুরের জলের নমুনা। জন্ডিস ঠেকাতে আপাতত ওই উৎসগুলির জল ব্যবহার করার জন্য গ্রামবাসীদের নিষেধ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে প্রশাসনের তরফে গ্রামে প্রতিদিন পাঠানো হচ্ছে জলের ট্যাঙ্ক।
তারপরও জন্ডিসের আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না জামিরাপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত পানীয় জলের নমুনায় জন্ডিসের ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। সম্ভবত ভারী বৃষ্টির কারণেই পানীয় জলের ওই উৎসগুলিতে এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে। আপাতত ওই গ্রামের মানুষকে স্থানীয় পানীয় জলের উৎসগুলিকে ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)