Bankura: বৃদ্ধকে কুপিয়ে খুন, তিন বছর পর যাবজ্জীবন দিল আদালত
Bankura: কুড়ুলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তারাপদ রায়। পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই সুশান্ত রায় ও হরিপদ রায়ের নামে ছাতনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার।
বাঁকুড়া: জমিজমার মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদ মেটাতে গিয়ে ২০২১ সালে খুন হয়েছিলেন বাঁকুড়ার উপরডাঙ্গা গ্রামের তারাপদ রায়। সেই খুনের ঘটনার তিন বছরের মাথায় মূল অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার উপরডাঙ্গা গ্রামে সব্যসাচী রায়ের সঙ্গে জমিজমার মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদ ছিল হরিপদ রায়ের পরিবারের। দু’পক্ষের এই বিবাদ শুনে ২০২১ সালের ১১ অগষ্ট দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে তা মেটাতে যান হরিপদ রায় নামে স্থানীয় এক বৃদ্ধ। এই সময় আচমকাই হরিপদ রায় ও তাঁর ছেলে সুশান্ত রায়ের সঙ্গে বচসা হয় তারাপদ রায়ের। বচসা চলাকালীন সুশান্ত রায় পিছন থেকে হাতে কুড়ুল নিয়ে আক্রমণ করে তারাপদর ওপর।
কুড়ুলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তারাপদ রায়। পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই সুশান্ত রায় ও হরিপদ রায়ের নামে ছাতনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। এই ঘটনার ৩ মাসের মধ্যে ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা করে পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষ্যর ভিত্তিতে বিচার চলতে থাকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে।
বুধবার বাঁকুড়া জেলা আদালত সুশান্ত রায় ও তার বাবা হরিপদকে দোষী সাব্যস্ত করে। আজ মূল অভিযুক্ত সুশান্ত রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড এবং তার বাবা হরিপদকে ৫ বছর কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের এই রায়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি মৃতের পরিবার।