বাঁকুড়া: অপরের জায়গা দখল করে দিনের পর দিন করাত কল চালিয়ে আসছেন তৃণমূল নেতা। দখলমুক্ত করার কথা বললেই মিলছে হুমকি। শেষ পর্যন্ত জমি পুনরুদ্ধার করতে বন দফতর ও পুলিশের দ্বারস্থ হলেন জমির মালিক। অভিযুক্ত তৃনমূল নেতার দাবি, জমির মালিকানা তাঁরই। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বিষয়টিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনা বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন জয়ন্ত দাস। বেলিয়াতোড়ের অদূরেই রয়েছে তাঁর করাতকল। সম্প্রতি বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগ ও বেলিয়াতোড় থানায় হাজির হয়ে দিলীপ মহান্ত লিখিত অভিযোগ জানান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গায়ের জোরে জয়ন্ত দাস তাঁর জায়গার উপর ওই করাতকল চালিয়ে আসছেন। অভিযোগ জমা পড়তেই নড়েচড়ে বসে বনদফতর। ইতিমধ্যেই বন দফতরের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে শুধুমাত্র অপরের জায়গা দখল করে করাতকল চালানোর অভিযোগ নয়, স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ যেখানে বন দফতরের নিয়ম রয়েছে জঙ্গলের দু’কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন বেআইনি সেখানে ওই তৃণমূল নেতা নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দিনের পর দিন জঙ্গলের দু ‘কিলোমিটারের মধ্যে অবাধে করাত কল চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যের জমিতে করাতকল চালানো এবং বেআইনিভাবে জঙ্গলের দু কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা জয়ন্ত দাস। তাঁর দাবি, তৃণমূলের একাংশ আগামীদিনে দল থেকে বহিষ্কার হতে পারেন এই সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার আগেই এই অভিযোগ করেছে। তাঁর দাবি বিষয়টি তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের।
তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি বিষয়টিকে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয় বলে মানতে নারাজ। বিজেপির দাবি বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক ও স্থানীয় ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্বের জেরেই এই বেনিয়ম সামনে এসেছে। ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবিতে আগামীদিনে বিজেপি এলাকায় আন্দোলন গড়ে তুলবে। অভিযোগ পাওয়ার পর বন দফতর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলেও দফতরের কোনও আধিকারিকই ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি।