বাঁকুড়া: পুজোর আগে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া অতিরিক্ত জলে ডুবে নষ্ট হয়েছিল হাজার হাজার বিঘে জমির আমন ধান। এবার মরা উপর খাঁড়ার ঘা এর মতো দানার প্রভাবে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়লেন আমন চাষিরা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিঘের পর বিঘে জমির সবজিও। সামগ্রিক প্রভাব আলু চাষে পড়ার ব্যাপক আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাতেই হুগলির পাশাপাশি চিন্তায় বাঁকুড়ার চাষিরাও।
রাজ্যের ধান ও সবজি উৎপাদক জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া জেলা। এই জেলার পুর্ব ও উত্তর অংশে ব্যাপক হারে ধান, আলু ও সবজি উৎপাদন হয়। চলতি বছর পুজোর আগে থেকেই সেই ধান ও সবজি চাষ কার্যত বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। পুজোর মুখে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া অতিরিক্ত জলে ডুবে যায় বাঁকুড়ার সোনামুখী, বড়জোড়া, ইন্দাস ও পাত্রসায়ের ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার ধান ও সবজির জমি। ব্যাপক ক্ষতি হয় আমন ও সবজি চাষে। লোকসান পুষিয়ে নিতে পুজোর মুখে ফের জমি তৈরি করে শীতকালীন সবজি চাষ করেন স্থানীয় কৃষকরা। কিন্তু এবার দানার প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সেই সবজি চাষেও ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কোথাও এক হাঁটু আবার কোথাও তার থেকে বেশি জল জমেছে সবজির জমিতে। গাছে ধরেছে পচন। আমনের পাকা ধানে কার্যত মই চালিয়ে গেছে দানার ঝোড়ো বাতাস ও লাগাতার বৃষ্টি। এই অবস্থায় আমন ধান বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হচ্ছেন চাষিদের। স্বাভাবিকভাবে মাথায় হাত পড়েছে ঋণ নিয়ে আমন চাষ করা সাধারণ কৃষকদের। কৃষকদের দাবি, এত লোকসানের পরেও ফসল বীমা বাবদ খুব বেশি হলে মিলবে এক থেকে ২ হাজার টাকা। তা দিয়ে আর ঘুরে দাঁড়ানো বা পরবর্তীতে আলু চাষের খরচ করা অসম্ভব। ফলে এই দানার প্রভাব যে সামনের আলুর মরসুমেও পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অবস্থায় কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে আরও সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামিও।