বাঁকুড়া: উপনির্বাচনের আগে চাপে পদ্ম শিবির। বিজেপির ঘরে ঢুকে ভাঙন ধরাল তৃণমূল। বিজেপির ইন্দপুর মণ্ডলের যুব নেতা-সহ মোট ২২ জন যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। মঙ্গলবার তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের ইন্দপুরের ঝরিয়া গ্রামে স্থানীয় ইন্দপুর মণ্ডল-২ যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি রাজীব পাল-সহ ২০ জন ও বিজেপির প্রতীকে ঝরিয়া আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা রোহিনী বাউরি তাঁদের দলে যোগ দেন বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছে।
এদিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু। বিজেপি ছেড়ে আসা ইন্দপুর মণ্ডল-২ যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি রাজীব পালের দাবি, ওই দলে কাজ করার সুযোগ ছিল না। তাছাড়াও বিজেপিতে যোগ্য লোকের অভাব না থাকা সত্ত্বেও যেভাবে ‘বহিরাগত’কে প্রার্থী করা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না।
তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবুর দাবি, আগামী দিনে রাজ্যে জোড়া ফুল আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউ থাকবে না। আগামীতে সবাই দলে দলে তাঁদের দলে যোগ দেবেন বলে জোরালো দাবি তাঁর। তবে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, গোটা বিষয়টি আদপে ‘সাজানো’। দলের নেতা তথা বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার দাবি, উপনির্বাচনের আগে তৃণমূল নিজেদের দলের লোককে তাঁদের দলে জুড়ে বিজেপির লোক বলে চালানোর চেষ্টা করছে। যারা ওই দলে যোগ দিয়েছে বলা হচ্ছে তারা কোনকালেই বিজেপির সঙ্গে ছিল না বলেও তিনি দাবি করছেন। তবে ভোটের মুখে দলবদলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে বাঁকুড়ার রাজনৈতিক মহল নতুন করে সরগরম হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)