Voter Card: ‘দুই মহিলারই এক স্বামী’, ভূতুড়ে ভোটার ধরতে গিয়ে অদ্ভুত কাণ্ড তালডাংরায়

Hirak Mukherjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 26, 2025 | 10:48 AM

Voter Card: সম্প্রতি দলের নির্দেশে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা ব্লকেও তৃণমূল কর্মীরা ভুয়ো ভোটার ধরতে ভোটার তালিকা হাতে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। আর সেই কাজ করতে গিয়ে এবার শ্যামসুন্দরপুর বুথে যে ছবি উঠে এল তাতে চক্ষু চড়কগাছ তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয়দের।

Voter Card: ‘দুই মহিলারই এক স্বামী’, ভূতুড়ে ভোটার ধরতে গিয়ে অদ্ভুত কাণ্ড তালডাংরায়
জোর চাপানউতোর এলাকায়
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া: দুই মহিলার ভোটের কার্ডে দেখা যাচ্ছে একই স্বামীর নাম। এদিকে মহিলাদের আবার এলাকাতেই কোনও অস্তিত্ব নেই। ভুয়ো ভোটার নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই অদ্ভুত কাণ্ড বাঁকুড়ায়। দলীয় নির্দেশে ভোটার তালিকা হাতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে একটি বুথেই এমন ৬ জন ভুয়ো ভোটারের খোঁজ পেল তৃণমূল। বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর বুথের এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 

সম্প্রতি দলের নির্দেশে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা ব্লকেও তৃণমূল কর্মীরা ভুয়ো ভোটার ধরতে ভোটার তালিকা হাতে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। আর সেই কাজ করতে গিয়ে এবার শ্যামসুন্দরপুর বুথে যে ছবি উঠে এল তাতে চক্ষু চড়কগাছ তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয়দের। দেখা যাচ্ছে ওই বুথে ১১২১ জন ভোটারের যে তালিকা রয়েছে তার মধ্যে ৬ জনের নাম ও তথ্য সন্দেহজনক। তাঁরা সকলেই ভুয়ো ভোটার বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। 

দেখা যাচ্ছে তালিকায় দীপান্বিতা ভট্টাচার্য ও জুহি ভট্টাচার্য নামে দুই মহিলা ভোটারের স্বামীর নামের জায়গায় উল্লেখ রয়েছে শাস্বত ভট্টাচার্যর। অথচ স্থানীয়দের দাবি, ওই বুথে ভট্টাচার্য পদবীধারী কোনও মানুষই বসবাস করেন না। তালিকায় পূজা ভুঁই ও অষ্টমী মাঝু-সহ একাধিক ভোটারের নাম থাকলেও এলাকার কেউই তাঁদের চেনেন না বা কোনওদিন দেখেননি। তালিকায় এমন ভুতুড়ে তথ্য চোখে পড়তেই তা নিয়ে শুরু হয় শোরগোল। 

তৃনমূলের দাবি, এভাবেই ভূতুড়ে ভোটারের উপর ভর করেই কেন্দ্রে সরকার গড়েছে বিজেপি। সামনের বিধানসভা নির্বাচনেও এই ভোটারদের তালিকায় রেখে দেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক স্বার্থে। বিজেপি অবশ্য এর দায় পুরোপুরি চাপিয়ে দিয়েছে তৃণমূল সরকারের কাঁধে। বিজেপির দাবি, ভোটার তালিকা সংশোধনের সমস্ত দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। তাই তাতে ভুল বা গরমিল থাকলে তার সমস্ত দায় রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের শাসকদল তৃনমূলকেই বহন করতে হবে। যদিও কার গাফলতিতে এটা হয়েছে, পিছনেই বা কী রহস্য সেই জট এখনও কাটেনি।