Flood Situation: ফুঁসছে দারকেশ্বর থেকে কংসাবতী, গর্জন থামছে না গন্ধেশ্বরী, শিলাবতীর! প্লাবনের সিঁদুরে মেঘ পশ্চিমের আকাশে, ডুবল সেতু
Flood Situation: বাঁকুড়ার পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলাতেও চলছে ভারী বৃষ্টি। ফুঁসছে কংসাবতী। নদী দিয়ে মুকুটমনিপুর জলাধারে ভাল পরিমাণ জল আসছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়লে কংসাবতী জলাধার থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ আরও কিছুটা বৃদ্ধি করা হতে পারে।

বাঁকুড়া: বৃষ্টি থামার কোনও নামই নেই। উল্টে এদিন নতুন করে পশ্চিমের চার জেলায় ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। নিম্নচাপের জেরে গত তিন দিন ধরে চলছে লাগাতার বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিতেই ফের বাড়তে শুরু করল বাঁকুড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একাধিক নদীর জল। দারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শিলাবতী, কংসাবতী, ভৈরোবাঁকি, বিড়াই-সহ সব নদীতেই বাড়ছে জলস্তর।
হাওয়া অফিস বলছে, বাঁকুড়ার নানা প্রান্তে বৃষ্টির মাত্রা ছাপিয়ে গিয়েছে একেবারে একশো মিলিমিটারের গণ্ডি। জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় দারকেশ্বর নদের উপর থাকা মীনাপুর সেতু জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে ওই সেতু দিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পারাপার। ফলে ব্যপক সমস্যায় পড়েছেন দারকেশ্বর নদের অপরপাড়ে থাকা বাঁশি ও আড়ালবাঁশি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।
বাঁকুড়ার পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলাতেও চলছে ভারী বৃষ্টি। ফুঁসছে কংসাবতী। নদী দিয়ে মুকুটমনিপুর জলাধারে ভাল পরিমাণ জল আসছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়লে কংসাবতী জলাধার থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ আরও কিছুটা বৃদ্ধি করা হতে পারে। অন্যদিকে জল ছাড়তে পারে ডিভিসিও। তাই প্লাবনের আশঙ্কা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে এদিন আবার আবহওয়া দফতর নতুন করে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। তাই প্লাবনের আশঙ্কা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
