বাঁকুড়া: চতুর বাঘিনি জিনাতকে ধরা যেন ক্রমশই দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে বন দফতরের কাছে। রাতভর দু’বার ঘুমপাড়ানি গুলি করার পরেও তাকে অচেতন করা সম্ভব হয়নি। ফলে তাকে খাঁচাবন্দী করে ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা এখনও অধরাই থেকে গেল বন দফতরের কাছে।
শনিবার ভোরে পুরুলিয়ার ডাঙ্গরডিহির জঙ্গল থেকে বাঘিনি ঢুকে পড়েছিল বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের গোঁসাইডিহির জঙ্গলে। বাঘিনির অবস্থান নিশ্চিত হতেই শনিবার বেলা দশটা থেকে তাকে বাগে আনতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করেন বন দফতরের কর্মীরা। দিনের আলোয় একবার তাকে দেখাও যায়। শনিবার বেলা তিনটা নাগাদ একবার ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ে বন দফতর। কিন্তু, সেই ঘুমপাড়ানি গুলি আদৌ তার শরীরে লেগেছিল কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
এরপর রাতের অন্ধকার নামার পর ফের শুরু হয় বাঘিনিকে বাগে আনার মরিয়া চেষ্টা। জাল দিয়ে ঘিরে রাখা জঙ্গলের চারিদিকে আগুন জ্বেলে রাতভর বাঘিনিকে পাহারা দেন বন কর্মীরা। এরপর ইনফ্রারেড থার্মাল ড্রোনের সাহায্যে বাঘিনির লোকেশান ট্র্যাক করে একের পর এক ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। সূত্রের খবর, রাত ১টা বেজে ২০ মিনিটি ও ভোর ৩ টা নাগাদ দুবার বাঘিনিকে লক্ষ্য করে যে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়েছিল তা লক্ষ্যভেদ করে। ঘুমপাড়ানি গুলির প্রভাবে বাঘিনি সাময়িক ভাবে ঝিমিয়ে পড়লেও তাকে উদ্ধার করে খাঁচাবন্দী করার আগেই সে আবার চাঙ্গা হয়ে যায়। কী কারনে এমনটা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। এদিকে বাঘিনিকে কাবু করতে এখনও লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বন দফতর।