Dilip Ghosh: ভিডিয়ো: কেষ্টর মুখে ‘ভদ্র ভোটের’ কথা, আর দিলীপের দাওয়াই, ‘কাঁচা বাঁশ কেটে রাখুন… গাঁট যেন বেরিয়ে থাকে’

Dilip Ghosh: দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে দিলীপ বাবুর বার্তা, "এখন থেকে বাঁশ কেটে রাখুন। শুকোবেন না। ঘরের মধ্যে রাখুন। চাঁচবেন না। গাঁট বেরিয়ে থাকে যেন... মারলে গায়ে দাগ থাকে।"

Dilip Ghosh: ভিডিয়ো: কেষ্টর মুখে 'ভদ্র ভোটের' কথা, আর দিলীপের দাওয়াই, ‘কাঁচা বাঁশ কেটে রাখুন… গাঁট যেন বেরিয়ে থাকে’
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2022 | 6:20 PM

বিষ্ণুপুর: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির বাতাবরণ। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের জন্য গাঁটওয়ালা কাঁচা বাঁশ কেটে রাখার পরামর্শ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার বিষ্ণুপুরে বিজেপির ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই এই মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতা বলেন, “গতবার সমস্ত পঞ্চায়েতে লুঠ করে নেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এবার কিন্তু খালি হাতে যাব না। কাঁচা বাঁশ কেটে নিয়ে যাব।” এরপরই দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে দিলীপ বাবুর বার্তা, “এখন থেকে বাঁশ কেটে রাখুন। শুকোবেন না। ঘরের মধ্যে রাখুন। চাঁচবেন না। গাঁট বেরিয়ে থাকে যেন… মারলে গায়ে দাগ থাকে।”

এর আগে বাংলার রাজনীতিতে ভোট আবহে বার বার শোনা গিয়েছে বিভিন্ন ধরনের তপ্ত বাক্য। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এর আগে মাঝে মধ্যেই চড়াম-চড়াম ঢাক বাজানো, গুড়-বাতাসা বিলির কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি এখন গরুপাচার কাণ্ডে জেলবন্দি। শনিবার অনুব্রত বাবু পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে বলেছেন, “এবারে নিরপেক্ষ হবে। আমরা চাইছে লড়তে। ভদ্রভাবে ভোট হবে, সুস্থভাবে ভোট হবে।” অনুব্রত মণ্ডলের মুখে যখন সুস্থভাবে ভোট হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে, ঠিক তার পরের দিনই দিলীপ বাবু আবার পরামর্শ দিচ্ছেন ‘কাঁচা বাঁশ কেটে’ রাখার কথা।

দিলীপ বাবু এদিন বিষ্ণুপুরের দলীয় সভামঞ্চ থেকে বলেন, “সোজা মনে ভোট করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের মনোনয়ন করতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সাত দিন ধরে এসডিও ও বিডিও অফিস ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। এবার কিন্তু আর আমরা খালি হাতে যাব না।”

উল্লেখ্য, ২০১৯  সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে বাংলার রাজনীতিতে ক্ষমতা বিস্তার করতে শুরু করে বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ পার করতে না পারলেও নিজেদের আসন সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেকটা বাড়িয়েছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু তারপর পুর নির্বাচনে আর সেভাবে দাঁত ফোটানোর সুযোগ পায়নি বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে এবার বিজেপি নেতার মুখে এই বার্তায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

Follow Us: