Potato Crisis: বাজার ছেয়ে যাচ্ছে ২৫ টাকার নতুন আলুতে, কী হবে হিমঘরে থাকা ৫০ লক্ষ প্যাকেট পুরনো আলুর?

Potato Crisis: এ রাজ্যে মূলত চার পাঁচ প্রজাতির আলু চাষ হয়। সবথেকে বেশি চাষ হয় জ্যোতি আলু। এছাড়াও পোখরাজ, চন্দ্রমুখী এবং কে বাইশ প্রজাতির আলুও চাষ হয়। এর মধ্যে বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মূলত জ্যোতি, পোখরাজ ও কে বাইশ প্রজাতির আলু চাষ বেশি। কে বাইশ ও পোখরাজ আলুর এ রাজ্যে তেমন বাজার নেই।

Potato Crisis: বাজার ছেয়ে যাচ্ছে ২৫ টাকার নতুন আলুতে, কী হবে হিমঘরে থাকা ৫০ লক্ষ প্যাকেট পুরনো আলুর?
চিন্তায় আলুূ ব্যবসায়ীরা Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2025 | 3:31 PM

বাঁকুড়া: পঞ্জাব থেকে আনা আলু নয়, বছরের গোড়া থেকেই রাজ্যের বাজারগুলিতে ঢুকতে শুরু করেছে নতুন আলু। নতুন আলু বাজারে চলে আসায় কমতে শুরু করেছে আলুর দর। নতুন আলু আসায় দ্রুত হারে নামতে শুরু করেছে পুরানো আলুর চাহিদাও। এদিকে সরকারি নির্দেশে ভিন রাজ্যে আলু রফতানিও পুরোপুরি বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হিমঘরগুলিতে মজুত থাকা লক্ষ লক্ষ বস্তা আলুর ভবিষ্যৎ কী? শঙ্কায় সব মহল। 

এ রাজ্যে মূলত চার পাঁচ প্রজাতির আলু চাষ হয়। সবথেকে বেশি চাষ হয় জ্যোতি আলু। এছাড়াও পোখরাজ, চন্দ্রমুখী এবং কে বাইশ প্রজাতির আলুও চাষ হয়। এর মধ্যে বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মূলত জ্যোতি, পোখরাজ ও কে বাইশ প্রজাতির আলু চাষ বেশি। কে বাইশ ও পোখরাজ আলুর এ রাজ্যে তেমন বাজার নেই। বেশিরভাগ আলুই রফতানি করা হয় পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড, বিহার ও ওড়িশার বাজারগুলিতে। কিন্তু, চলতি বছর পুজোর পর থেকেই সরকারি নির্দেশে এ রাজ্যে আলু রফতানি পুরোপুরি বন্ধ। ফলে মূলত  বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হিমঘরগুলিতে জমে রয়েছে লক্ষ লক্ষ বস্তা আলু। 

এই খবরটিও পড়ুন

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির হিসাবে শুধুমাত্র বাঁকুড়া জেলাতেই জমে রয়েছে ৫ লক্ষ বস্তা আলু। পশ্চিম মেদিনীপুরে সেই পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বেশি। সব মিলিয়ে রাজ্যে পরিমাণটা প্রায় ৫০ লক্ষ বস্তার কাছাকাছি। এদিকে নতুন আলু ইতিমধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে। নতুন আলু বাজারে এসে পড়ায় পুরানো আলুর চাহিদা এখন একেবারে তলানিতে। পঞ্জাব থেকে সেভাবে আলু আসে না বাঁকুড়ার বাজারগুলিতে। অল্প পরিমাণে কখনও তা এলেও তার চাহিদা থাকে যথেষ্টই কম। আর সেজন্যে আলু ব্যবসায়ীরা পঞ্জাবের আলু রাখতেই চান না। জেলার বাজারগুলিতে নতুন আলু আসতে থাকায় লাগাম পড়েছে আলুর দামেও। সারা বছর ৩০ টাকার উপরে থাকা আলুর দর এখন নেমে এসেছে ২৪ থেকে ২৫ টাকা কিলো দরে। আলু সংরক্ষণকারীদের দাবি, রাজ্য সরকার আলু নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতি না নেওয়ায় একদিকে যেমন সারা বছর মানুষ বেশি দামে আলু কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন তেমনই ভিন রাজ্যে আলু রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজ্য জুড়ে হিমঘরগুলিতে মজুত থাকা প্রায় ৫০ লক্ষ বস্তা আলুর ভবিষ্যৎ অন্ধকারের মুখে পড়েছে।