Potato Price: হিমঘরেই ছিল প্রায় সাড়ে ১২ কোটি প্যাকেট আলু, জোগান কমের অজুহাত কেন? কালোবাজারির অভিযোগ সরব বিরোধীরা

Potato Price: হিমঘরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বাঁকুড়ার হিমঘরগুলিতে জমে লক্ষ লক্ষ প্যাকেট আলু, তবে কী রাজ্যের বাজারগুলিতে আলুর চড়া দর ধরে রাখতেই ভিন রাজ্যে আলু রফতানি নিয়ে এত তৎপরতা রাজ্য সরকারের? প্রশ্ন বিরোধীদের।

Potato Price: হিমঘরেই ছিল প্রায় সাড়ে ১২ কোটি প্যাকেট আলু, জোগান কমের অজুহাত কেন? কালোবাজারির অভিযোগ সরব বিরোধীরা
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 02, 2025 | 5:05 PM

বাঁকুড়া: গত মরসুমে রাজ্যে আলুর উৎপাদন কম হয়নি। হিমঘরেও জমেছে প্রচুর আলু। কিন্তু, তারপরেও রাজ্যে আলুর ঘাটতির কারণ দেখিয়ে ভিন রাজ্যে আলু রফতানি বন্ধ করে রেখেছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে মেয়াদ শেষেও শুধুমাত্র বাঁকুড়া জেলার হিমঘরগুলিতেই মজুত রয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ প্যাকেট আলু। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের বাজারগুলিতে আলুর চড়া দর ধরে রেখে কী আসলে কালোবাজারি ও মজুতদারদের পক্ষেই কাজ করেছে রাজ্য সরকার? 

বিগত মরসুমে রাজ্যের কমবেশি ৫০০ টি হিমঘরে ১২ কোটি ৫৫ লক্ষ ৪ হাজার ২৪৩ বস্তা আলু সংরক্ষণ করা হয়েছিল। যা রাজ্যের চাহিদার তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু, তারপরেও সারা বছর রাজ্যের খোলা বাজারগুলিতে আলুর দাম ছিল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কিলো দরে আলু কিনে খেতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। ভিন রাজ্যে আলু রফতানি করায় রাজ্যের বাজারগুলিতে জোগান কমছে, আর তার জেরেই বাড়ছে দাম! সেই অজুহাতে পুজোর আগে থেকেই ভিন রাজ্যে আলু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য সরকার। সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে জোর টানাপোড়েন চলে আলু ব্যবসায়ীদের। আলুর দরে রাশ টানতে নামানো হয় টাস্ক ফোর্সকে। কিন্তু, তারপরেও একদিকে যেমন সরকারি সিদ্ধান্ত বদল হয়নি তেমনই রাজ্যের বাজারগুলিতে কমেনি আলুর দর। 

এই খবরটিও পড়ুন

এদিকে আলু সংরক্ষণের জন্য রাজ্য সরকারের দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও শুধুমাত্র বাঁকুড়া জেলার হিমঘরগুলিতেই এখনও জমে রয়েছে ৫ লক্ষ প্যাকেট আলু। সারা রাজ্য ধরলে সেই সংখ্যাটা তার কয়েকগুণ। একদিকে হিমঘরে আলু রাখার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অন্যদিকে বাজারে নতুন আলু আসতে শুরু করায় আপাতত ওই মজুত আলু নষ্ট হওয়া ছাড়া আর কোনও গতি নেই। এখানেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকারের ভূমিকায়। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের বাজারগুলিতে আলুর জোগান কম থাকার অজুহাত দিয়ে চড়া দর ধরে রেখে আসলে কালোবাজারের কারবারিদের মুনাফার জন্যই কাজ করেছে রাজ্যের সরকার। এরফলে একদিকে যেমন বছরভর সাধারণ মানুষকে অনেক চড়া দরে আলু কিনে খেতে হয়েছে তেমনই মেয়াদ শেষেও হিমঘরগুলিতেই থেকে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ প্যাকেট আলু। চাপে পড়ছেন চাষিরা।