বাঁকুড়া: কালীপুজোর চাঁদা বেশি নেওয়ায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে গ্রামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই ব্যক্তিকেই মারধর করে বিষ প্রয়োগ করে খুনের অভিযোগ উঠল। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের বালিডোবা গ্রামে। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বিজেপির কোতুলপুর ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপংতি বিকাশ দে ও তাঁর তিন সহযোগীর। পুলিশ ইতিমধ্যেই দিলীপ দে নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের বালিডোবা গ্রামের বাসিন্দা রাজ কুমার কুন্ডু। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় কালীপুজোর উদ্যোক্তারা তাঁর পরিবারের কাছে চাঁদা চাইতে গিয়েছিলেন। সেই চাঁদা দিয়েও দেন রাজ কুমার কুন্ডুর মা। পরিবারের কাছে উদ্যোক্তারা বাড়তি চাঁদা নিয়েছেন এই অভিযোগ তুলে গত ৫ নভেম্বর রাজকুমার কুন্ডু উদ্যোক্তাদের গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপির কোতুলপুর ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি বিকাশ দে-সহ তাঁর ৩ অনুগামী রাজকুমার কুন্ডুকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। বাড়িতে বাইরে থেকে তালাবন্দি করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ।
অভিযোগ রাজকুমার কুন্ডুকে সেই সময় বিষও খাইয়ে দেন তাঁরা। সূত্রের খবর, যখন তাঁকে উদ্ধার করা হয় দেখা যায় মুখ থেকে গ্যাঁজলা বের হচ্ছে। তড়িঘড়ি রাজকুমার কুন্ডুকে প্রথমে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। এরপরই রাজকুমার কুন্ডুর পরিবারের তরফে জয়পুর থানায় বিজেপি নেতা বিকাশ দে সহ মোট ৪ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার পর বিকাশ দে পালিয়ে গেলেও জয়পুর থানার পুলিশ এই ঘটনায় দিলীপ দে নামে তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে। সরব হয়েছে তৃণমূলও। দোষীদের সকলকে দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন এলাকার ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। যদিও বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি নব চক্রবর্তী বিষ প্রয়োগের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। চাঁদা নিয়ে গালিগালাজ করায় ওই ব্যক্তিকে এলাকার লোকজন বন্ধ করে রেখেছিলেন। পরে তিনি নিজেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জাবি তাঁর।