বাঁকুড়া: ফের ভোট। হাতে আর মাত্র ক’টা দিন। ফুটছে বাংলা। এরইমধ্যে ফের ভোট প্রচারে বেরিয়ে বিধায়কের বিতর্কিত মন্তব্যে বিতর্ক। একবেলা খেয়েও কর্মীদের যন্ত্র কেনার পরামর্শ পদ্ম বিধায়কের। তা নিয়েই ঝড় রাজনীতির পাড়ায়। অন্যদিকে ভোটের সময় বুথে বাধা দিলে ডান্ডা দিয়ে ট্রিটমেন্টের হুঁশিয়ারি সুকান্তর। তবে ছেড়ে কথা বলছে না ঘাসফুল শিবিরও।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ নভেম্বর বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। রাঢ় বঙ্গের এই আসনে জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া ডান-বাম সব শিবিরই। প্রচারের মাঝেই চলছে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। ভোটের দিনে দলের কর্মীদের কী ভূমিকা হবে তা বলতে গিয়ে প্রকাশ্যেই মুখের লাগাম হারাচ্ছেন অনেকেই। কেউ ডান্ডা দিয়ে ট্রিটমেন্টের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তো কেউ আধবেলা খেয়েও যন্ত্র কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন। কেউ আবার ভোটের লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের ‘প্রভাবিত’ করে নিজেদের ভোট বাক্স ভরানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। তা নিয়েই সরগরম বাঁকুড়ার রাজনৈতিক মহল।
আরজি কর আবহে এবারে বাংলার উপনির্বাচন যে অন্য মাত্রা পেয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মতে আরজি কর কাণ্ড যে ভোটবাক্সে সেই অর্থে কোনও প্রভাব ফেলেনি তা সব ক’টা আসন জিতে প্রমাণ করতে মরিয়া তৃণমূল। অন্যদিকে আরজি করকে হাতিয়ার করেই শাসককে চাপে রাখতে মরিয়া বিরোধীরা। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে দুই শিবিরই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার তালডাংরায় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সভা করতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। মানুষ যে রায় দেবে তা আমরা মাথা পেতে নেব। কিন্তু তৃণমূল বুথে ঢুকে গন্ডগোল করলে আপনারা ঝান্ডার সঙ্গে বড়বড় ডান্ডা রাখবেন। ট্রিটমেন্ট করে দেবেন। বাকি ব্যবস্থা আমরা করে দেব।” ওই মঞ্চেই ছিলেন বাঁকুড়ার পদ্ম বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। তিনি আরও সুর চড়িয়ে বলেন, “আপনাদের একবেলা খেয়ে একবেলার টাকা জমিয়ে যন্ত্র কিনতে হবে। তারপর তৃণমূলের কেউ চোখ তুলে তাকালে সেই চোখ উপড়ে ফেলতে হবে।” পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও।
সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী। ওই সন্ধ্যাতেই তালডাংরা বিধানসভার বিবড়দায় তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহ বাবুর সমর্থনে সভা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বিজেপিকে একহাত নিয়ে অরুপ চক্রবর্তী বলেন, ভোটের দিন দলের মহিলা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে তৃণমূলের ছাপ দেওয়া দেশলাই খাপ এবং তৃণমূলের ছাপ দেওয়া দেবতার সিঁদূর তুলে দিতে হবে। ভোটের দিন লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষকে তৃনমূলের পক্ষে ভোটদানের আবেদন জানাতে হবে।” আর এ মন্তব্যে সুর চড়িয়েছেন পদ্ম নেতারা।