বাঁকুড়া: নল গেছে, জল মেলেনি। গ্রীষ্ম পড়তেই দ্রুত নামছে গ্রামের একমাত্র টিউবওয়েলের জলস্তর, ভরসা পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গর্তে ফোঁটা ফোঁটা জমতে থাকা জল, ৩০০ মিটার পাহাড় জঙ্গল ডিঙিয়ে সেই জলই সংগ্রহ করে পানীয় জলের চাহিদা মেটাচ্ছে জঙ্গলমহলের পাতাজুবা গ্রামের মানুষ
গ্রামে নল গিয়েছে, কিন্তু সেই নল দিয়ে আজ পর্যন্ত এক ফোঁটাও জল পড়েনি। গ্রামে নলকূপ আছে। কিন্তু, টিলার উপর থাকা সেই গ্রামের নলকূপে দ্রুত নামছে জলস্তর। মাঝেমধ্যে বিকলও হয়ে যাচ্ছে। অগত্যা ৩০০ মিটার পাহাড় ও জঙ্গলের দুর্গম পথ পেরিয়ে পাহাড়তলির ছোট্ট গর্তে জমে থাকা জল তুলেই মেটাতে হচ্ছে পানীয় জলের চাহিদা। এভাবেই দিন কাটছে জঙ্গলমহলের পাতাজুবা গ্রামের মানুষদের।
চারদিকে ঘন জঙ্গল, আশপাশে অসংখ্য টিলা। এরকমই একটি বড় টিলার উপর রয়েছে পাতাজুবা গ্রাম। সব মিলিয়ে ২৮টি পরিবারের বসবাস। কিন্তু, জলের অভাবে ধুঁকছে গোটা গ্রাম। পাহাড়তলিতে থাকা একটি পুকুরের জলে স্নান ও গৃহস্থলির জলের চাহিদা পূরণ হলেও গ্রীষ্ম আসতেই ক্রমশ তীব্র আকার নিচ্ছে পানীয় জলের অভাব। পানীয় জল পৌঁছানোর লক্ষ্যে বছর খানেক আগে নল বসানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু, অজানা কোনও কারণে সেই নলের মুখ থেকে এক ফোঁটা জলও পাননি গ্রামের মানুষ।
বারিকুল গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে গ্রামে একটি নলকূপ বসানো হয়েছে। কিন্তু টিলার উপরে থাকা সেই নলকূপে গরমে জলস্তর এত দ্রুত নামছে যে মাঝেমধ্যেই তা বিকল হয়ে পড়ছে। অগত্যা গ্রামের মানুষদের জল আনতে জঙ্গলে ঢাকা পাহাড়ের চড়াই ভেঙে যেতে হচ্ছে পাহাড়তলিতে। পাহাড়ের গা বেয়ে পাহাড়তলিতে থাকা ছোট্ট মাটির গর্তে যে ফোঁটা ফোঁটা জল জমে তাই সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। তা খেয়েই কোনও মতে চলছে জীবন। গ্রামবাসীদের দাবি, জলের সমস্যার কথা বারবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ব্লক স্তর, সর্বত্র জানানো হয়েছে। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।