Bankura: সম্পত্তিগত বিবাদের জের, সালিশি সভার নিদানে ‘একঘরে’ প্রণব, দোকানেও আসছে না কেউ
Bankura: অভিযোগ, সালিশি সভাতেই গ্রামের মোড়লরা প্রণবকে একঘরে করে রাখার নিদান দেন। এমনকী তাঁর দোকান থেকে যাতে কেউ কোনও জিনিস না কেনেন সে বিষয়েও মাইকিং করে ‘সতর্ক’ করা হয় গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দাদের।
বাঁকুড়া: একই পরিবারের দুই সদস্যের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে চলছিল সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। কিন্তু মিটছিল না কিছুতেই। শেষে বিবাদ মেটাতে সালিশি সভা ডাকেন গ্রামের মোড়লরা। সেখানেই এক ভাইকে এক ঘরে করে রাখার নিদান দেওয়া হয়েছে গ্রামের সালিশি সভার তরফে। সূত্রের খবর, বাঁকুড়া ১ নং ব্লকের হেলনা শুশুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা রেবতী কর্মকারের দুই ছেলে প্রবীর ও প্রণব কর্মকার। তাঁদের মধ্যেই সম্পত্তিগত বিবাদ চলছিল দীর্ঘদিন থেকে। তাঁদের বিবাদ মেটাতে বসে সালিশি সভা। অভিযোগ, সেখানেই গ্রামের মোড়লরা প্রণবকে একঘরে করে রাখার নিদান দেন। এমনকী তাঁর দোকান থেকে যাতে কেউ কোনও জিনিস না কেনেন সে বিষয়েও মাইকিং করে ‘সতর্ক’ করা হয় গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দাদের।
অভিযোগ, গ্রামের সালিশি সভা হওয়ার সিদ্ধান্ত কেউ না মানলে জরিমানা করা হবে বলেও গ্রামের মোড়লরা সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে এক বিংশ শতাব্দীর বুকে দাঁড়িয়েও এ ধরনের মধ্যযুগীয় বর্বরতায় শিকার হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে নির্যাতিত পরিবার। ইতিমধ্যেই সামাজিক বয়কটের কথা জানিয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা শাসকের দফতর, বাঁকুড়া সদর থানায় অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
এদিকে সামাজিক বয়কটের মুখে পড়ে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যা সন্তানকে নিয়ে চূড়ান্ত অসহায়তার মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন প্রণব কর্মকার। ঘটনা প্রসঙ্গে প্রণব কর্মকার বলেন, “আমাদের একটা দোকান মা স্বেচ্ছায় আমাদের নামে লিখে দেন। দাদা মাকে দেখত না। তাই ওকে দেয়নি। তারপর আমার দাদাই সালিশি সভা ডাকে। সেখানে আমাদের পরিবারের সকলকে বারবার হেনস্থা করা হয়। আমি বারবার বলি জমি-জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে আইন আছে। আমি কেন সালিশি সভার কথা মানব? এরপর ওদের কথা না মানার জন্য আমাকে একঘরে করেছে। আমাকে সমাজচ্যুত করেছে। আমার দোকানেও খদ্দের আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” যদিও গ্রামে সালিশি সভার এই সিদ্ধান্তের কথা অস্বীকার করেছেন অনেক বরিষ্ঠ বাসিন্দা।