Fraud Case: নথিপত্র ও সিম হাতে দরজায় দাঁড়িয়ে মহিলা, অনুসরণ করতেই উদ্ধার আসল রহস্য

Bankura: বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এই অভিযানে জালে ৫ প্রতারক। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের জাল আর কোথায় রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ।

Fraud Case: নথিপত্র ও সিম হাতে দরজায় দাঁড়িয়ে মহিলা, অনুসরণ করতেই উদ্ধার আসল রহস্য
বাঁকুড়া প্রতারণা চক্র (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2022 | 6:50 PM

বাঁকুড়া: কুরিয়্যার সার্ভিসের নামে প্রতারণা চালানোর অভিযোগ। সেই চক্রের কিনারা করল পুলিশ। কলকাতার বুকে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বিভিন্ন কোম্পানির টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল এই চক্র।

বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এই অভিযানে জালে ৫ প্রতারক। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের জাল আর কোথায় রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ১৯ টি মোবাইল, ২৮ টি ল্যান্ড ফোন ও প্রচুর সংখ্যক সিম কার্ড। এই চক্র মূলত টাওয়ার বসানোর নাম করে টাকা হাতানো এবং ইন্সুরেন্সের নামে প্রতারণা করত বলে অভিযোগ। অন্য কোনও কাজে এই চক্রের যোগ রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারীরা।

সম্প্রতি, জুলাই মাসে বাঁকুড়ার জয়পুর থানায় এক ব্যক্তি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে ওই অভিযোগকারীর কাছ থেকে দফায় দফায় মোট ১৬ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে শান্তিপুর ও এয়ারপোর্ট এরিয়া থেকে ৬ জনের একটি চক্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রচুর তথ্য উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানতে পারে এই চক্রের সঙ্গে আরও একাধিক চক্র জড়িয়ে রয়েছে। নতুন- নতুন চক্রের খোঁজে তদন্ত প্রক্রিয়া জারি রাখে তদন্তকারী বাঁকুড়া পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে অভিযোগকারীর ৪ লক্ষ টাকা হাওড়ার শ্যামপুর থানা এলাকার দেবাশীস পাল নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়। সেই সূত্র ধরে পুলিশ দেবাশীস পালকে গ্রেফতার করে। এরপর দেবাশিস পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাঁকুড়া পুলিশের তদন্তকারী দল জানতে পারে, তিন থেকে চার হাজার টাকার বিনিময়ে প্রতি মাসে নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করত এবং নিজের নামে সিম কিনে সেগুলি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিত দমদম ১ নং এয়ারপোর্ট গেটের কাছে মন্দির মসজিদ এলাকায়।

এরপরে বাঁকুড়া পুলিশের তদন্তকারী এক অফিসার কুরিয়ার সার্ভিস বয় সেজে দেবাশীস পালের পাঠানো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সিম নিয়ে পৌঁছে যায় ওই এলাকায়। এক মহিলা কুরিয়ার সার্ভিস সেজে থাকা পুলিশের কাছে ওই সব জিনিস পত্র সংগ্রহ করতে এলে। ওই মহিলাকে অনুসরণ করে মূল ডেরায় পৌঁছে পুলিশ গ্রেফতার করে ৪ জনকে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সংখ্যক সিম কার্ড, ২৮ টি ল্যান্ড ফোন, ১৯ টি মোবাইল ফোন এবং বেশ কিছু নথি।

পুলিশ জানিয়েছে গোপনে ওই এলাকায় ভাড়া বাড়ি নিয়ে ভুয়ো কল সেন্টার করে ফোন করে মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণার চক্রের ফাঁদ পেতেছিল। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আর কোন চক্র জড়িত রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারী পুলিশ।