Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Recruitment Case: ‘হয় চাকরি ফিরিয়ে দিন, না হয় স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন’ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন চাকরিহারারা

Recruitment Case: সুপ্রিম কোর্টে বহাল রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের রায়। দুর্নীতির দায়ে বাতিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি। তা নিয়েই হাহাকার নাগরিক মহলে, তপ্ত রাজনীতির আঙিনা। দোষ কার, কে যোগ্য, কে অযোগ্য, তা নিয়েও চাপানউতোরের অন্ত নেই।

Recruitment Case: ‘হয় চাকরি ফিরিয়ে দিন, না হয় স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন’ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন চাকরিহারারা
রাস্তায় চাকরিহারারাImage Credit source: TV9 Bangla GFX
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2025 | 9:17 AM

বাঁকুড়া: যোগ্য অযোগ্য বাছাই করে যোগ্য দের হয় চাকরী ফিরিয়ে দিন, নাহলে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন, এই দাবিকে সামনে রেখে বাঁকুড়ায় বিক্ষোভে সামিল হলেন সদ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। গতকাল সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার কৃষক বাজারে জমায়েত করে চাকরিহারারা। চলে বিক্ষোভ।

সুপ্রিম কোর্টে বহাল রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের রায়। দুর্নীতির দায়ে বাতিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি। তা নিয়েই হাহাকার নাগরিক মহলে, তপ্ত রাজনীতির আঙিনা। দোষ কার, কে যোগ্য, কে অযোগ্য, তা নিয়েও চাপানউতোরের অন্ত নেই। বাঁকুড়া জেলায় সব মিলিয়ে বাতিল হওয়া চাকরির সংখ্যা এক হাজারের উপর। চাকরিহারারা তো বটেই, সুপ্রিম রায়ের পর থেকে চরম হতাশায় পরিবারের সদস্যরা। 

আক্ষেপের সঙ্গেই অনেকে বলছেন, চাকরি চুরির অপবাদে অনেকেই পাড়ায়, গ্রামে, শহরে পরিচিতদের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই করে যোগ্যদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হলেন বাঁকুড়া জেলায় চাকরী হারা শিক্ষক শিক্ষিকা ও তাঁদের পরিবারের একাংশ। তাঁদের দাবি যোগ্য হিসাবে চাকরি পেয়েও এখন শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের গাফিলাতির কারনে তাঁদের চাকরিহারা হতে হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সদ্য চাকরি হারানো সকলেই চুরি করে চাকরি পেয়েছেন এমন অপবাদ শুনতে হচ্ছে। চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি অনেকেই। 

এই পরিস্থিতিতে যোগ্য অযোগ্য বাছাই করে যোগ্যদের সসম্মানে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক নতুবা তাঁদের সকলকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক, এই দাবি তুলেই চলল মিছিল। এদিকে সঙ্গে সরকারের উদ্দেশ্যেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। সাফ কথা, তাঁদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এবার বন্ধ হোক। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ১ বৈশাখের ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছেন চাকরিহারারা। ইতিমধ্যেই ১২ থেকে ১৩ মঞ্চ একজোট হয়ে ১ বৈশাখের মধ্যে বাস্তবচিত উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলছেন। সমস্যা সমাধান না হলে একজোট হয়ে নবান্ন অভিযানেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।