Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: তৃণমূল নেতার পাকা বাড়ির খোঁজ দিয়েছেন, সন্দেহের বশে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ আইসিডিএস কর্মীর স্বামীকে

Bankura: আবাস যোজনার তালিকায় নাম ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের। সেই তালিকার ভিত্তিতে সম্প্রতি সমীক্ষা চালানো হয়।

Bankura: তৃণমূল নেতার পাকা বাড়ির খোঁজ দিয়েছেন, সন্দেহের বশে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ আইসিডিএস কর্মীর স্বামীকে
আইসিডিএস কর্মীর স্বামীকে মারধর (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2022 | 10:59 AM

বাঁকুড়া: ফের দুর্নীতির অভিযোগ অবাস যোজনায়। জানা গিয়েছে, সমীক্ষায় তৃণমূল নেতাদের পাকা বাড়ির হদিশ দিয়েছেন আইসিডিএস কর্মী। সন্দেহের বশে আইসিডিএস কর্মীর স্বামীকে বেধড়ক মারের অভিযোগ। সম্পত্তিগত বিবাদে পালটা মারের অভিযোগ।

কী ঘটেছে?

আবাস যোজনার তালিকায় নাম ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের। সেই তালিকার ভিত্তিতে সম্প্রতি সমীক্ষা চালানো হয়। এই সমীক্ষার সময়ে নেতাদের থাকা পাকা বাড়ির কথা স্থানীয় বাদিন্দা পেশায় আইসিডিএস কর্মী জানিয়ে দিয়েছেন ব্লক প্রশাসনকে। শুধুমাত্র এই সন্দেহের বশে আইসিডিএস কর্মীর স্বামীকে ধরে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল খোদ শাসক দলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে । ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের জামশোলা গ্রামে। সম্পত্তিগত বিবাদে পালটা মারধরের অভিযোগ অপর পক্ষের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের জামশোলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ হানিদুল রহমানের স্ত্রী সুলতানা বেগম পার্শ্ববর্তী বীরসিংহা গ্রামে আইসিডিএস কর্মী হিসাবে কর্মরত। সম্প্রতি প্রকাশিত আবাস যোজনার উপভোক্তাদের নামের তালিকা ধরে সমীক্ষা চালানো হয় জামশোলা গ্রামে। নিজের গ্রামের সমীক্ষার দায়িত্ব ছিল না সুলতানা বেগমের। কিন্তু আবাস যোজনার তালিকায় জামশোলা গ্রামের উপভোক্তাদের কয়েকজনের পাকা বাড়ি থাকার কথা প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছেন সুলতানা বেগম এমনই সন্দেহ দানা বাধে তৃণমূল নেতাদের একাংশের মধ্যে।

আজ দুপুরে সুলতানা বেগমকে বাসে চাপানোর জন্য স্বামী শেখ হানিদুল রহমান জামশোলা মোড়ে নিয়ে গেলে আচমকাই বেশ কয়েকজন শেখ হানিদুলের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন শেখ হানিদুল। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানেই আপাতত তাঁর চিকিৎসা চলছে তাঁর। শেখ হানিদুল বলেন, “আমার স্ত্রী সার্ভে করেছিল। শাসকদলের লোকজন ভেবেছিল যদি আমি ওদের বেআইনি কাজের জন্য নালিশ করে দিই সেই সন্দেহে মেরেছে আমায়।”

আক্রান্তর দাবি স্ত্রী আবাস যোজনার সমীক্ষক দলে থেকে স্থানীয় নেতাদের বাড়ির আসল অবস্থা প্রশাসনিক স্তরে জানিয়ে দিয়েছে এই আশঙ্কাতেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে । আইসিডিএস কর্মী সুলতানা বেগমও একই দাবি করেছেন। পালটা মারধরের দাবিতে সরব হয়েছে অপর পক্ষও। অপর পক্ষের দাবি সমীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নয় সম্পত্তিগত বিবাদের কারণে শেখ হানিদুল ও তাঁর লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেছে। শেখ তাহের আলি বলেন, “একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। ওদের দলের লোকজন আমাদেরকে মেরেছে।” দুপক্ষের তরফেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।