বাঁকুড়া: গ্রামের মধ্যে বেশ সুন্দর পিচের রাস্তা। তা ঝকঝকেও রয়েছে। তারপর আবার সংস্কার হয়েছে। ফলে সেই রাস্তায় যে এখনও আঁচড় পড়বে না সে কথা বলাই চলে। বাঁকুড়ার বাঁকাদহ থেকে জয়পুর যাওয়ার রাস্তার চেহারার এ কী দশা? এলাকাবাসী হাত দিয়ে তুলে নিচ্ছেন পিচের আবরণ। আর বেরিয়ে পড়ছে নগ্নতা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দায়সারা ভাবে রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে।
অভিযোগ, রাস্তার ভাঙা অংশে জমে থাকা ধুলোর উপরেই কোনও ভাবে নিম্নমানের পিচ ঢেলে দায়সারা ভাবে চলছিল সংস্কারের কাজ। কাজ এতটাই নিম্নমানের যে হাতে করে ঘষলে বা চলাচল করলেই রাস্তা থেকে উঠে আসছে পিচের চাদর। এমনই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি নজরে আসতেই এলাকাবাসী রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দেন।
বস্তুত, বাঁকুড়ার বাঁকাদহ থেকে জয়পুর যাওয়ার দশ কিলোমিটার রাস্তা বছর পাঁচেক আগেই তৈরি করা হয়েছিল। সেই রাস্তাতেই এখন তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলা পরিষদ ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বরাত দেয়। রাস্তার কাজ শুরু হয় বাঁকাদহর দিক থেকে।সংস্কারের কাজ শুরু হতেই এলাকাবাসী দেখেন হাত দিয়ে রাস্তা খুঁড়লেই দলা দলা উঠে আসছে পিচের অংশ। চলাচল করলে পায়ের জুতোয় আটকে যাচ্ছে পিচের অংশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তায় জমে থাকা পুরু ধুলোর উপরেই দায়সারা ভাবে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করাতেই এই সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ করে প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের দাবি, নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা মেরামতির কাজ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের গাফিলাতি নজরে এলে সরকারি নিয়ম ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অর্চিতা বিদ বলেন, “আমি জানতাম না। এলাকার কাজের ক্ষেত্রে কোনও রকম সমঝোতা করা হবে না। আমি সরজমিনে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”