বাঁকুড়া: সবে বেরিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023 Result) ফল। ঘাসফুল ঝড়ে দিকে দিকে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিরোধীরা। হালে বিশেষ পানি পায়নি বিজেপি (BJP), তথৈবচ অবস্থা বাম-কংগ্রেসেরও। তৃণমূলের ঝোড়ো ইনিংসের মধ্যে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসকদলকে জোর টক্কর দিয়েছিল বিজেপি। এই পঞ্চায়েতে ১২ আসন রয়েছে। ফলে দেখা যায় ১২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৬টি, বিজেপি ৫টি ও নির্দল প্রার্থী ১ টি আসনে জয়লাভ করেন। কিন্তু, ফলপ্রকাশের ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই জ্য়াকেট বদলে ফেললেন ৪৯ নম্বর আসনে বিজেপির টিকিটে জয়ী প্রার্থী সলমা মুর্মু। হয়ে গেলেন তৃণমূল। যা নিয়েই এখন জোর চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য তৃণমূলের দরকার ছিল ৭ আসন। কিন্তু, তা তাঁদের হাতে ছিল না। ত্রিশঙ্কু কাঁটায় অস্বস্তি বেড়েছিল শাসকের। কিন্তু, সলমার ভোলবদলে সমীকরণটাই পুরো বদলে গেল। বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না তৃণমূলের। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও বোর্ড গঠনের জন্য জোর করে ওই মহিলাকে দলবদল করানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে ভয়। তাতেই বাধ্য হয়ে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, “গোটা রাত ধরে ওকে ভয় দেখানো হয়েছে। ধমকেছে, চমকেছে। ভয়েই তিনি তৃণমূলে গিয়েছেন। সেটা তো আর উনি নিজের মুখে বলবেন না। এটা পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রকাশ পাবে। চব্বিশের পরে যখন ওদের সরকারটাই চলে যাবে তখনই সবটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে শাসকদল। তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হতেই সলমা দেবী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। খানিক এক সুর সলমা দেবীর গলাতেও। তিনি বলছেন, বিজেপিতে কাজ করার জায়গা নেই। তাই মানুষের জন্য কাজ করতেই তিনি তৃণমূলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।