Bankura-Burdwan: ভরদুপুরে মুহুর্মুহু বজ্রপাত! জেলায় জেলায় মৃত ১৮, আহত আরও ২
Bankura-Burdwan: প্রবল বৃষ্টির মাঝে আচমকা বজ্রপাতে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার কাঁটাবন উদয়পল্লী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় গুরুতর জখম হন জীবন ঘোষ নামের এক যুবক। আহত ওই যুবককে প্রথমে পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বাঁকুড়া: পৃথক পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় একাধিক জেলায় মৃত্যু হল মোট ১৮ জনের। বর্ধমানে মৃত্যু ৫ জনের। পশ্চিম মেদিনীপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাঁকুড়া জেলায় মৃত্যু হল ৯ জনের। আহত আরও মৃত্যু ২ জন। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানেও বজ্রপাতে মৃত্যু হল ২ ব্যক্তির। দক্ষিণ দিনাজপুরেরও এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। পুরুলিয়াতেও মৃত্যু হয়েছে একজনের। এদিন দুপুরে আকাশ কালো করে ঝেঁপে বৃষ্টি নামে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ সহযোগে বৃষ্টির মাঝেই বাঁকুড়ার কোতুলপুর, ওন্দা, ইন্দাস ও পাত্রসায়ের থানা এলাকায় পৃথক পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃষ্টির মাঝেই মাঠে আমন ধান রোপণের কাজ করছিলেন কোতুলপুর থানার খিরি গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক মোল্লা ও আসপিয়া মোল্লা। আচমকা বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনেই জমিতে লুটিয়ে পড়েন। অন্যান্যরা আহত দু’জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জিয়াউল হক মোল্লাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত আসপিয়া মোল্লাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় ওই হাসপাতালে।
অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টির মাঝে আচমকা বজ্রপাতে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার কাঁটাবন উদয়পল্লী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় গুরুতর জখম হন জীবন ঘোষ নামের এক যুবক। আহত ওই যুবককে প্রথমে পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওন্দাতেও এদিন বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম নারায়ণ সর। বাড়ি ওন্দা থানার কামারকাটা এলাকায়। এদিন দুপুরেই বাজ পড়ে একজনের মৃত্যু ও একজন আহত হয়েছেন ইন্দাস থানার বাঙালচক এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম শেখ ইসমাইল। ঘটনায় আহত হয়েছেন বুলটি বাগদী নামের এক মহিলা। অন্যদিকে ওন্দার রামকৃষ্ণপুরে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে তিলকা মাল নামের এক মহিলার। ওন্দা থানার ভাদুলডাঙ্গা গ্রামেও বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে জবা বাউরী নামের এক মহিলার। এই এলাকায় আরও এক মৃত্যুর খবর এসেছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকেও মৃত আরও এক।
পূর্ব বর্ধমানেও মৃত্যু
পূর্ব বর্ধমানেও মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহিতে মৃত্যু হয়েছে সনাতন পাত্রের (৬০)। বৃহস্পতিবার সকালে মাধবডিহি গ্রামের পাশের গ্রামে আলমপুরের মাঠে চাষের কাজ করছিলেন তিনি। তখনই আচমকা বাজ পড়ে। খবর পেয়ে মাধবডিহি থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে আলমপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মাধবডিহির পাশাপাশি আউশগ্রামে একজনের বাজে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রবীন টুডু। বাড়ি বেলারি, আউশগ্রাম। তিনিও মাঠে কাজ করছিলেন। মৃত্যু হয়েছে অভিজিৎ সাঁতরার (২৫)। বাড়ি রায়না ১ নম্বর ব্লকের তেণ্ডুল গ্রামে। মঙ্গলকোটের চানক কৃষ্ণপুরের বুড়ো মাড্ডির মৃত্যু হয়েছে (৬৪)। মাঠে ধান রোয়ার কাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। খণ্ডঘোষের শেরপুরের পরিমল দাসের (৩২) জমিতে কাজে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণাতেও বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে একজনের। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে বাজ পড়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
