বাঁকুড়া: বিরোধী, তবে অন্য দলের নয়। বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের বিরোধিতায় একের পর এক মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন তাঁরই দলের ‘বিদ্রোহী’রা। বিজেপির বাঁকুড়া জেলার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জীবন চক্রবর্তীর পর এবার সুভাষের বিরোধিতায় মনোনয়ন দিলেন বিজেপির তফশিলি মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি সুপ্রভাত লোহার। মনোনয়ন দিয়ে একের পর এক অভিযোগ উগরে দেন সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে। বলেন, কখনও দলীয় কর্মীদের পাশে থাকেন না সুভাষ।
গত পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই বাঁকুড়ায় বারবার বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ সামনে আসছে। লোকসভার দিনক্ষণ ঘোষণার প্রায় এক বছর আগে থেকেই সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায় দলের একাংশকে। পরিস্থিতি এমন হয় যে দলেরই বিক্ষুব্ধ কর্মীদের হাতে বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সাংগঠনিক কার্যালয়ে তালাবন্দি হতে হয় সুভাষ সরকারকে।
লোকসভা ভোটের আবহে সেই দ্বন্দ্ব যেন আরও প্রকট রূপ নিচ্ছে। সুভাষ সরকারের বিরোধিতা করে জীবন চক্রবর্তীকে সমর্থন দিয়েছে অখিলভারত হিন্দুমহাসভা। এরইমধ্যে এবার আরও কিছুটা চাপ বাড়িয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন সুপ্রভাত লোহার। তিনিও নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ছেন।
সুপ্রভাত বলেন, “আমরা বিজেপির আদর্শে বিশ্বাসী তবে সুভাষ সরকার বিরোধী। বাধ্য হয়ে এই পথে নামতে হয়েছে। কারণ বিজেপির যে আদর্শ তার উল্টোদিকে হেঁটে একজন প্রার্থী হয়েছেন। উনি বাঁকুড়া বিজেপিকে শেষ করে দিয়েছেন। পঞ্চায়েতে যাঁরা বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁদের পাশে দাঁড়াননি। কোনও কর্মীর পাশে উনি নেই। কর্মীদের মিথ্যা কেস দেন। আমার নামে মিথ্যা কেস দিয়েছেন সুভাষ সরকার। মনে হয় ভুল বার্তার কারণে দল ওনাকে প্রার্থী করেছে। আমরা তা মানছি না। আজ ৯৯ শতাংশ কর্মী বসে আছেন। উনি জিতবেন কীভাবে কে জানে?” যদিও এ নিয়ে সুভাষ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “একদম গুরুত্বহীন।”