Bankura: ছুঁলেই বিপদ! রহস্যময় ফুলে ভরে যাচ্ছে সোনামুখীর জঙ্গল, আমাজনের সেই ফুল এবার বাংলায়!
Bankura: সোনামুখী ব্লকের বড় নারায়ণপুর গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে এই উদ্ভিদের দেখা মিলেছে। আর এই বিরল প্রজাতির ফুল তথা গাছ যাতে সুরক্ষিত থাকে, যাতে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়, সেই ভাবনা শুরু করেছে বন দফতর।
বাঁকুড়া: সোনামুখীর জঙ্গলে নজিরবিহীন দৃশ্য। এমন লাল ফুল দেখেননি এলাকার অনেকেই। তবে খবর ছড়িয়ে পড়তে সাধারণ মানুষ জড় হচ্ছেন জঙ্গলে। মাংসাশী ফুল কেমন হয়, কীসের মাংস খায়! কৌতূহল বাড়ছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। আসলে এগুলি সূর্যশিশির। ছেলেবেলায় জীবন বিজ্ঞানের বইয়ের পাতায় এই প্রজাতির পতঙ্গভূক উদ্ভিদের নাম শুনেছেন অনেকেই। দেখা যায় না খুব বেশি।
সোনামুখী ব্লকের বড় নারায়ণপুর গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে এই উদ্ভিদের দেখা মিলেছে। আর এই বিরল প্রজাতির ফুল তথা গাছ যাতে সুরক্ষিত থাকে, যাতে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়, সেই ভাবনা শুরু করেছে বন দফতর।
এমনিতে সানডিউ বা সূর্যশিশির গাছ পৃথিবীতে তেমন বিরল নয়, আমাজনের জঙ্গলে এই উদ্ভিদের দেখা মেলে। বীরভূম জেলাতেও মাঝেমধ্যে দেখা মেলে এই উদ্ভিদের। তবে নজিরবিহীনভাবে এবার সোনামুখীর জঙ্গলে এই ব্যতিক্রমী গাছের দেখা মিলল। শুষ্ক আবহাওয়ায় স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে এই ধরনের গাছ জন্মায় বলে জানা গিয়েছে।
এই গাছের একাধিক শুঁড় থাকে। যে শুঁড়ের মধ্যে চটচটে আঠালো পদার্থ থাকে। সাধারণত পতঙ্গ এই গাছের সুন্দর লাল ও গোলাপি রঙের ফুলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গায়ে বসলেই শুঁড়ে লেগে থাকা আঠাল পদার্থে তারা আটকে যায়। এরপর সেই পতঙ্গের শরীর থেকে বিশেষ কৌশলে প্রোটিন সংগ্রহ করে নিজের পুষ্টির চাহিদা মেটায় গাছটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় নারায়ণপুর গ্রাম লাগোয়া ওই জঙ্গলে গাছটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরাই খবর দেন বন দফতরে। এরপরই বন দফতরের তরফে এলাকায় নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়। বন দফতরের দাবি গৃহপালিত পশুর চারণভূমিতে ওই গাছ টিকে থাকতে পারেনা। তাই ওই এলাকায় যাতে গরু সহ অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণী না যায় সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন দফতর।