AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: বালি বোঝাই করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি, দারকেশ্বরের জলে ডুবল একের পর এক লরি

Bankura: বর্ষার শুরুতেই বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে বাঁকুড়া জেলায়। ইতিমধ্যেই জয়পন্ডা নদীর জল হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে তালডাংরা ব্লকের একাধিক গ্রামে। গত ৪৮ ঘন্টায় বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টি হয়েছে মোট ২১০ মিলিমিটার।

Bankura: বালি বোঝাই করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি, দারকেশ্বরের জলে ডুবল একের পর এক লরি
ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায় Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2025 | 5:24 PM
Share

জয়পুর: প্রবল বৃষ্টি। আর তাতেই ভয়ঙ্কর পরিণতি। দ্বারকেশ্বর নদের গর্ভে বালি বোঝাই করতে গিয়ে নদের জলে ডুবল একের পর এক লরি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বেলেখালি এলাকায়। ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে লরিগুলির চালক থেকে শুরু করে বালি পরবহণকারীদের। চাঞ্চল্য এলাকায়।

জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই এদিন সকালে বালি বোঝাই করার জন্য দ্বারকেশ্বর নদের গর্ভে থাকা অস্থায়ী রাস্তা দিয়ে বেলেখালি বালি খাদানে পৌঁছায় বেশ কিছু লরি। চলছিল লরিতে বালি বোঝাইয়ের কাজও। এরই মাঝে এদিন সকাল থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে দারকেশ্বর নদের জলস্তর। দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বুঝতে পেরেই তড়িঘড়ি লরিগুলিকে নদের পাড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। কিছু লরি নদের পাড়ে উঠতে সমর্থ হলেও প্রায় ৬ টি লরি আর নদের পাড়ে উঠতে পারেনি। ফলে সেগুলি পড়ে থাকে নদের গর্ভেই। এদিকে জলস্তর বাড়তে বাড়তে লরিগুলির প্রায় অর্ধেক জলের তলায় চলে যায়। জলস্তর বৃদ্ধির হার একই থাকলে লরিগুলি সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আতঙ্কে চালকরা। 

এদিকে বর্ষার শুরুতেই বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে বাঁকুড়া জেলায়। ইতিমধ্যেই জয়পন্ডা নদীর জল হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে তালডাংরা ব্লকের একাধিক গ্রামে। গত ৪৮ ঘন্টায় বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টি হয়েছে মোট ২১০ মিলিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪২ মিলিমিটার। ইতিমধ্যেই জয়পন্ডা নদীর জলও হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে তালডাংরা ব্লকের একাধিক গ্রামে। জমা জলে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই জেলায় মোয় পাঁচটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে নিয়ে আসা হয়েছে জয়পন্ডা নদী তীরবর্তী একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। অন্যদিকে আমোদর নদের জলে প্লাবিত হল বাঁকুড়ার কোতুলপুর আরামবাগ রাস্তা। রাস্তার উপর দিয়ে কোথাও এক কোমর জল বইছে আবার কোথাও জল বইছে গলা সমান। ফলে মা সারদার পবিত্র জন্মভূমি জয়রামবাটির মাতৃমন্দিরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। ফলে উদ্বেগের মেঘ গোটা জেলাতেই।