Bankura: খুন TMC কর্মী, ৭ তৃণমূল নেতা-কর্মীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের

Hirak Mukherjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 10, 2024 | 3:01 PM

Bankura: এই ঘটনায় মোট ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। ওই বছরই ৩০ মার্চ জয়পুর থানার পুলিশ ১৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে। এরপর থেকেই বিচার প্রক্রিয়া চলছিল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে।

Bankura: খুন TMC কর্মী, ৭ তৃণমূল নেতা-কর্মীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের
আদালতের রায়ে খুশি মৃতের পরিবারের সদস্যরা
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া: ২০১২ সালে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সভাপতি সহ ৭ তৃণমূল নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের। ২০১২ সালে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার হরিনাশুলি গ্রামে খুন হন তৃনমূল নেতা গোলাম কুদ্দুস শেখ। ওই ঘটনায় সেই সময় বিস্তর চাপানউতোর চলেছিল এলাকার রাজনৈতিক মহলে। ওই ঘটনায় একদিন আগেই তৃণমূলের উত্তরবাড় অঞ্চল সভাপতি বাবর আলি কোটাল ও তৃণনমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য সহ মোট ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত। এদিন হল সাজা ঘোষণা। এদিন বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক দোষী ৭ জনেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। 

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি বিকালে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার হরিনাশুলি গ্রামে ইন্দিরা আবাস যোজনার প্রকল্পের কাজ নিয়ে ঝামেলা হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। সেই সময় রাস্তা দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছিলেন গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃনমূলের নেতা গোলাম কুদ্দুস শেখ। আচমকাই তৃণমূলের একাংশ গোলাম কুদ্দুস শেখের উপর আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। টাঙি, লাঠি, রড দিয়ে গোলাম কুদ্দুস শেখকে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন গোলাম। গুরুতর আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুরে। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় গোলামের। 

এই ঘটনায় মোট ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। ওই বছরই ৩০ মার্চ জয়পুর থানার পুলিশ ১৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে। এরপর থেকেই বিচার প্রক্রিয়া চলছিল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে ৬ জনকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। বাকি তৃণমূলের উত্তরবাড় অঞ্চল সভাপতি বাবর আলি কোটাল ও স্থানীয় দুই পঞ্চায়েত সদস্য সহ মোট ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। অবশেষে এদিন হল সাজা ঘোষণা। 

আদালতের রায়ে খুশি মৃত গোলাম কুদ্দুস শেখের পরিবার। এদিকে রায় ঘোষণার পর তৃনমূলের বক্তব্য,  আদালতের প্রতি তাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে আগামীদিনে নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাওয়া হবে বলে জানাচ্ছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। 

Next Article