তালডাংরা: ফেরে বেজেছে ভোটের বাদ্যি। তপ্ত রাজনীতির আঙিনা। সামনেই বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভার উপনির্বাচন। তার আগে ভাইফোঁটাকে জনসংযোগ ও প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের ছবি দেখা গেল তালডাংরায়। সেই উদ্যোগে সামিল তৃনমূল থেকে বিজেপি সব প্রার্থীই। রীতি ভেঙে গণফোঁটার আয়োজনে সামিল হলেন বাম প্রার্থীও।
আগামী ১৩ নভেম্বর বাঁকুড়ার তালডাংরায় উপনির্বাচন। তার আগে জোর প্রচারে নেমেছে রাজ্যের সব দলই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখানে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও লড়াই হচ্ছে মূলত ত্রিমুখী। এই নির্বাচনে শাসক তৃণমূলকে কড়া টক্কর দিচ্ছে বিজেপি। একসময়ের বামেদের শক্ত ঘাঁটি তালডাংরায় নিজেদের জমি ফিরে পেতে মরিয়া সিপিএমও। নির্বাচন যখন দোরগোড়ায় তখন ভাইফোঁটা যে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে তা কী আর বলার অপেক্ষা রাখে! সে কারণেই ভাইফোঁটাকেই প্রচারের হাতিয়ার করলেন ডান বাম সব দলের প্রার্থীরাই। সে ছবিই দেখা গেল দিনভর।
তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহ এদিন সকাল থেকে একের পর এক মোট ১১ টি গ্রামে হাজির হয়ে স্থানীয় মহিলা তৃণমূল কর্মীদের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেন। তাঁর দাবি এই প্রথম নয়, এর আগেও এভাবেই তিনি ফোঁটা নিয়েছেন। আগামীদিনেও নেবেন। উল্টে বিরোধীদের প্রতি তাঁর কটাক্ষ সারাবছর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় নির্বাচনের আগে জনসংযোগের জন্য তাঁদের ভাইফোঁটাকে আঁকড়ে ধরতে হচ্ছে। তবে ফোঁটা রাজনীতিতে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। বিজেপি প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র তালডাংরায় নির্বাচনী কার্যালয়ে হাজির হয়ে শুধু দলের কর্মীদের কপালে ফোঁটা দিলেন তাই নয় প্রচারে সামিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার থেকে শুরু করে বাঁকুড়ার সমস্ত বিজেপি বিধায়কে দিলেন ফোঁটা। ফোঁটা দিলেন দলের নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।
ভাইফোঁটার এই উৎসবে এবারই প্রথম দলীয় রীতি ভেঙে সামিল হতে দেখা গেল বামেদেরও। এদিন সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগরে বাম নেতৃত্বের পাশাপাশি গণ ফোঁটার আয়োজন করেন সিপিএম প্রার্থী দেবকান্তি মহান্তিও। দলের মহিলা কর্মীরা প্রার্থী ও দলীয় নেতৃত্বকে ফোঁটা দেওয়া ছাড়াও পথ চলতি মানুষদের কপালে এঁকে দেন ফোঁটা।