বাঁকুড়া: আর ধমক চমক বা চোখরাঙানি নয়, নয় হুঁশিয়ারিও, লোকসভা ভোটের আগে পরে দলত্যাগীদের দলে ফেরাতে এবার খোলামঞ্চ থেকে মরিয়া আহ্বান জানালেন তৃনমূলের ব্লক সভাপতি। বাঁকুড়ার তালডাংরার এমন ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির কটাক্ষ, সামনেই তালডাংরার উপ নির্বাচন। সেই নির্বাচনের ভয়েই এখন ক্রম ক্ষয়িষ্ণু তৃণমূলের মুখে এমন সুর।
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিরোধী দলে যাওয়া বা নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কর্মীদের প্রতি কঠোর অবস্থান নেয় শাসকদল। দলত্যাগীদের কোনও পরিস্থিতিতেই দলে ফেরানো হবে না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফেও বারেবারে এমন বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে থেকেই ধীরে ধীরে অবস্থান বদল করতে শুরু করে ঘাসফুল শিবির। দলে পুরানো কর্মীদের ফেরাতে প্রয়োজনে পায়ে ধরার কথা বলতে শোনা যায় লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীকে। লোকসভা ভোটের পরেও অভিমানী পুরানো কর্মীদের দলে ফেরাতে তৃনমূল যে মরিয়া, তার প্রমাণ মিলল তালডাংরায়। এমনটাই মত বিরোধীদের।
গতকাল সন্ধ্যায় তৃণমূলের ২১ জুলাই এর প্রস্তুতি সভা থেকে দলের ব্লক সভাপতি তারাশঙ্কর রায় স্পষ্টতই দলে সাদর আহ্বান জানালেন দলত্যাগীদের। আর এই বক্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। তৃণমূলের ওই ব্লক সভাপতির যুক্তি, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বদলা নয় বদল চাই। সেই আদর্শকে সামনে রেখে তৃণমূল ভালোবাসার রাজনীতি করে। তারপরেও কিছু মানুষ ভূল বুঝে দল ছেড়েছিলেন। যার জেরে কোনও কোনও এলাকায় বিগত নির্বাচনে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পুরানো কর্মীদের দলে ফিরিয়ে দলকে চাঙ্গা করতেই এই আহ্বান।
বিজেপি অবশ্য তৃণমূল ব্লক সভাপতির এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপির দাবি, তালডাংরা বিধানসভায় একের পর এক নির্বাচনে ক্রমশ ধসে যাচ্ছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় ওই আসনে উপনির্বাচন হবে। বিজেপির দাবি, সেই উপনির্বাচনে ও ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় এখন পুরানো কর্মীদের দলে ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল।