সোনামুখী: প্রকাশ্য সভা থেকে এবার বিজেপি নেতাদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের ধানসিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মণ্ডল। শনিবার সন্ধ্যায় কাশিপুর এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল শেষে অবস্থান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর নিদান, “আরজি কর ইস্যু নিয়ে বিজেপির নেতা কর্মীরা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে তাদের কোমর থেকে পা পর্যন্ত ভেঙে দেবেন”। তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চাপানউতোর।
প্রসঙ্গত, দিন যত যাচ্ছে ততই জট বাড়ছে আরজি কর কাণ্ডে। প্রতিবাদের ঢেউ এখন শহর ছাড়িয়ে গ্রাম-গঞ্জেও ধাক্কা দিচ্ছে। একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামেও অরাজনৈতিকভাবে সংগঠিত প্রতিবাদ মিছিল। এরইমধ্যে একের পর এক তৃণমূল নেতার মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক চলছিলই। সেই আগুনেই ঘি ঢালল ইউসুফের মন্তব্য। মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের।
যদিও সিংহভাগ তৃণমূল নেতার নিশানাতেই পদ্ম শিবির। শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের কাশিপুর এলাকায় আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল করে ঘাসফুল শিবির। পরে বিক্ষোভ অবস্থান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্থানীয় ধানসিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মণ্ডল বিজেপি নেতাদের উদ্যেশ্যে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার নিদান দেন। এলাকার মহিলাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আরজি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতারা এলাকায় অশান্তি পাকাতে এলে তাদের কোমর থেকে পা পর্যন্ত ভেঙে দেবেন। তাদের বুঝিয়ে দেবেন সোনামুখী ব্লক তৃণমূল এখনও মরে যায়নি”। পাল্টা তোপ বিজেপির।
সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি পাল্টা খোঁচা দিয়ে বলেন, “ছাত্র সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী ফোঁস করার কথা বলার পর ওই তৃনমূল নেতা এইসব কথা বলে এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই তৃণমূল নেতারই কে বা কারা ঠ্যাং ভেঙে দিয়েছিল। এই ধরনের কথা যে বেশি বলবে মানুষ তাঁর ক্ষেত্রে একই বিচার করবে।”