Mango Festival: এবার বিলেত যাওয়া হচ্ছে না টুসটুসে আম্রপালির, দেখা মিলতে পারে দিল্লি, কলকাতায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 20, 2022 | 9:40 PM

Mango: গত কয়েক বছরে এ রাজ্য, দেশের সীমানা পার করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশেও পাড়ি দেয় আম্রপালি আম। জেলার আম চাষীরা বেশ লাভের মুখও দেখেন।

Mango Festival: এবার বিলেত যাওয়া হচ্ছে না টুসটুসে আম্রপালির, দেখা মিলতে পারে দিল্লি, কলকাতায়
বাঁকুড়ার আম্রপালি আম। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

বাঁকুড়া: এ বছর ফলন খুব একটা ভাল হয়নি বাঁকুড়ার আম্রপালি আমের। তাই বিলেত যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতে কী! দেশের মানুষের রসনা তৃপ্তি করছে, সেটাও তো কম গর্বের নয়। দিল্লির নাম করা আম উৎসবে যোগ দিতে সোমবারই ৬ মেট্রিক টন আম পাঠানো হচ্ছে বাংলার এই জেলা থেকে। আম উৎসবে রাজধানীর মানুষ তো থাকেনই, ভিড় করেন বহু বিদেশিও। এবার না হয় দেশে থেকেই মানুষের মন ছোঁবে বাংলার এই সুস্বাদু আম। গরমকাল মানেই টুসটুসে মিষ্টি আম ছাড়া যেন মনই ভরে না। হরেকরকম নাম, স্বাদেও ভিন্নতা। মালদহ থেকে মুর্শিদাবাদ, সব জেলারই গর্ব করার মতো আমের সম্ভার রয়েছে। কিন্তু বাংলা বাজারে ঘুরে ঘুরে নিজের একটা আলাদা পরিচিতি তৈরি করে ফেলেছে বাঁকুড়ার আম্রপালি। বিভিন্ন জেলাতেই তার চাহিদা রয়েছে। কলকাতার মার্কেটেও বেশ কাটতি এই আমের। হিমসাগর, ফজলি, বেগুনফালি, সিঁদুরমুখী, চৌসা আমের সঙ্গে স্বাদে গন্ধে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে বাঁকুড়ার আম্রপালি।

গত কয়েক বছরে এ রাজ্য, দেশের সীমানা পার করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশেও পাড়ি দেয় আম্রপালি আম। জেলার আম চাষীরা বেশ লাভের মুখও দেখেন। কিন্তু এবার একেবারে ভাল ফলন হয়নি এই আমের। ঝড়, বৃষ্টির খামখেয়ালিপনায় আম্রপালির বাগান কার্যত ফাঁকা। অন্তত বিদেশে যাওয়ার মতো আম নেই। ইতিমধ্যেই বিদেশ থেকে বরাত আসলেও তা ফেরাতে হচ্ছে। তবে এবার দিল্লির আম মেলায় যাচ্ছে আম্রপালি।

জেলার উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ জুন থেকে দিল্লির আম মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। চলবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। একটু দেরী হয়েছে ঠিকই, তবু ৬ মেট্রিক টন আম নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিচ্ছেন বাঁকু়ড়ার আম চাষীরা। ভাল বিক্রি হলে, দ্বিতীয় দফায় আরও কিছু আম নিয়ে যাবেন। পাশাপাশি আগামী ২৩ জুন কলকাতাতেও আম মেলা। ২৬ জুন অবধি চলে। সেখানেও থাকবে আম্রপালি।

বাঁকুড়া জেলা উদ্যান পালন দফতরের ফিল্ড অফিসার সঞ্জয় সেনগুপ্ত বলেন, “এ বছর মুকুল আসার আগেই বেশ কয়েকটি নিম্নচাপের কারণে ফলন ৩০ শতাংশে নেমে গিয়েছে। আমরা খুব চিন্তায়ও ছিলাম। দিল্লি, কলকাতার দু’টো মেলায় ডাক পেয়েছি। আম্রপালির ব্যাপক চাহিদা থাকে এই দু’ জায়গায়। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে কতটা আম কিনতে পারব, চিন্তায় ছিলাম। আমরা এবার বিদেশে পাঠাতে পারলাম না। আমাদের সঙ্গে ছ’জন রফতানিকারক যোগাযোগও করেছিলেন। না করে দিয়েছি। আমের ফলন নেই এবার। দাম বাড়তি দিতে চেয়েছিলেন। তাতেও আমরা রাজি হইনি। আসলে জেলার মানুষ, রাজ্যের মানুষ, দেশের মানুষ আগে স্বাদ পাক, সেটাই আমরা চেয়েছি।”

Next Article