বাঁকুড়া: কোনও জঙ্গলই নিরাপদ মনে করছে না জিনাত, তাই বারংবার স্থান বদল! মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একের পর এক পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর জিনাতের মর্জির উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে বন দফতরকে। সময় যত যাচ্ছে জিনাতের স্বেচ্ছায় সিমলিপালে ফেরা ততটাই অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ রাজ্যে আসার পর থেকে ক্রমশ স্থান বদল করছে বাঘিনি জিনাত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা কোনও জঙ্গলকেই নিজের নিরাপদ ঠিকানা মনে করতে না পারার ফলেই বিভ্রান্ত হয়ে বিভিন্ন জঙ্গলে ঘুরছে জিনাত। এদিকে বারংবার পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর এখন জিনাতের মর্জির উপর অনেকটা বাধ্য হয়ে নির্ভর করতে হচ্ছে বন দফতরকে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জিনাত এখন নিজের পুরানো জায়গায় ফিরতে চাইছে। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে ততই তার ফেরা হচ্ছে অনিশ্চিত।
গত শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের সীমানা পেরিয়ে বেলপাহাড়ি ব্লকের কাঁকড়াঝোড় ও ময়ুরঝর্ণার জঙ্গলে পৌঁছায় জিনাত। তারপর কখনও বেলপাহাড়ির কাঁকড়াঝোড় ও ময়ুরঝর্ণার জঙ্গল, আবার কখনও পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লকের রাইকা ও ভাঁড়ারি পাহাড়ে ঘুরে বেড়িয়েছে সে। এদিন সকালে সেখান থেকে সরে জিনাত ঢুকে পড়েছে মানবাজারের ডাঙ্গরডির জঙ্গলে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ রাজ্যে আসার পর থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ চালাচ্ছে জিনাত। কিন্তু, কোনও জঙ্গলই নিরাপদ মনে না হওয়ায় এখন বিভ্রান্ত হয়ে নিজের পুরানো জায়গায় ফেরার চেষ্টা করছে সে। জিনাতকে খাঁচা বন্দী করার একের পর এক পরিকল্পনা ব্যার্থ হওয়ার পর তাকে পুরানো ঠিকানায় ফেরাতে তার নিজের মর্জির উপর এখন অনেকটাই নির্ভর করতে হচ্ছে বন দফতরকে।
তবে বন্য প্রাণের এভাবে নিজের পুরানো জায়গায় ফিরে যাওয়ার ঘটনা একেবারেই বিরল নয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি এ ধরনের প্রাণীরা যখন স্থানান্তর করে তখন সে ওই রাস্তায় কিছু প্রমাণ ছেড়ে যায়। সেই প্রমাণের সাহায্যেই পরবর্তীতে সে ফিরে যায় পুরানো জায়গায়। কিন্তু সময় যত যায় ততই সেই প্রমাণ লোপ পেতে থাকে। আর তাতেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তার ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা। এক্ষেত্রেও তেমনটা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।