Kacha Badam Song: কাঁচা বাদামেই ঘুরেছে ভাগ্যের চাকা! অজ পাড়া গাঁয়ে তাক লাগাচ্ছে ভুবনের অট্টালিকা

Kacha Badam Song: এক গানেই বদলেছিল ভুবনের ভুবন। জীবনে লেগেছে নতুন রঙ। এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। আর তাতেই একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামে অট্টালিকা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন ভুবন বাদ্যকার।

Kacha Badam Song: কাঁচা বাদামেই ঘুরেছে ভাগ্যের চাকা! অজ পাড়া গাঁয়ে তাক লাগাচ্ছে ভুবনের অট্টালিকা
ছবি - কাঁচ বাদামই যেন ভুবনের আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 10:46 PM

বীরভূম: রাস্তায় ফেরি করে কাঁচা বাদাম বিক্রি করে কোনওরকমে চলে যেত সংসার। তবে ভাগ্য সহায় থাকলে কে আটকায়! ভুবন বাবুর ‘কাঁচা বাদাম’ গানের (Kacha Badam Song) খ্যাতি এক লহমায় পাল্টে দিয়েছে তাঁর ভাগ্য। এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতাও। আর এবারে নতুন পাকা বাড়ি করে খুশিতে আত্মহারা তিনি। নতুন বাড়ি করার খুশিতে বেঁধেছেন গানও। তবে, এই সাফল্যের জন্য নেটিজেনদের ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, পেশায় কাঁচা বাদাম বিক্রেতা ভুবন বদ্যকর ২০২১ সালে বাদাম বিক্রি করতে করতে একটি গান বেঁধেছিলেন। সেই গান গেয়েই বাদাম বিক্রি করতেন তিনি। একদিন সেই গান মোবাইল বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন অচেনা কোনও ব্যক্তি। তাতেই ভাগ্য ফেরে ভুবন বাবুর।

সোশ্য়াল মিডিয়ায় আপলোড হওয়া মাত্রই বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয় কাঁচা বাদাম গানটি। গানটি এতটাই বিখ্যাত হয় যে অনেকে তার রিমেকও বানান। ইনস্টাগ্রাম রিলসেও সমান জনপ্রিয়তা পায় এই গান। শুধুমাত্র ভারতবর্ষেই নয়, বিদেশের খ্যাতনামা তারকাদেরও নাচতে দেখা গিয়েছে এই গানে। এই গানেই কার্যত বদলে গিয়েছে ভুবনের ভুবন। কাঁচা বাদামই যেন হয়ে ওঠে ভুবন বাবুর আশ্চর্য প্রদীপ। পাড়া-গাঁয়ের অখ্যাত বাদাম বিক্রেতা থেকে রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে যান তিনি। এই গান ভাইরাল হওয়ার পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বীরভূমের দুবরাজপুর শহর থেকে কখনও পারি দিয়েছেন সুদূর স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে, আবার কখনও দেখা গিয়েছে বাংলার নামী রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে। আবার কখনও দেখা গিয়েছে বাংলাদেশী তারকা হিরো আলমের সঙ্গে গান গাইতে। এই খ্যাতির পাশাপাশি তিনি পেয়েছেন আর্থিক স্বচ্ছলতাও। রঙীন হয়েছে জীবন।

কিনেছেন নতুন চার চাকা। সেই নতুন গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে অবশ্য দুর্ঘটনার কবলেও পড়েছিলেন তিনি। বর্তমানে নিজের পরিবারের জন্য তিনি একটি নতুন পাকা বাড়ি তৈরি করেছেন ভুবন বাদ্যকার। বাড়ি তৈরি করতে ইতিমধ্যেই ৬ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুবন বাবু। তার মধ্যেই বাড়ির ভিতরে বসানো হয়েছে মার্বেল, চলছে ইন্টিরিয়র ডিজাইনিংয়ের কাজ। তবে এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি বাড়ির কাজ। তবে এই বাড়ি দেখে চোখ কপালে তুলছেন অনেকেই। প্রত্যন্ত গ্রামে এ যেন সত্যিই অট্টালিকা। ভুবন বাবু অবশ্য বলছেন তিনি কখনওই ভাবেননি তিনি এত বড় বাড়ি বানাতে পারবেন। সব কিছুই হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। ফেসবুকের দুনিয়ায় এই গান ভাইরাল না হলে তার ভাগ্যের চাকা এই ভাবে ঘুরত না। তাই তিনি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন নেট পাড়ার বাসিন্দাদের কাছে।