Birbhum: বৈঠকে নাক ফাটল তৃণমূল নেতার, পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে অশান্তি?
TMC Worker attacked in Birbhum: এক স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলের নামের বদলে অন্য একজনের নাম প্রস্তাব করাতেই নাকি বেজায় চটে যান ওই নেতা ছেলে। আর তাতেই মহম্মদ করিমুজ্জামান নামে এক তৃণমূল কর্মীর নাকে ঘুষি মেরে নাকি তাঁর নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বীরভূম: পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কাদের কাদের সম্ভব্য প্রার্থী হিসেবে রাখা যেতে পারে, তা নিয়েই বৈঠক চলছি। সেখানেই তুলকালাম কাণ্ড। এক স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলের নামের বদলে অন্য একজনের নাম প্রস্তাব করাতেই নাকি বেজায় চটে যান ওই নেতা ছেলে। আর তাতেই মহম্মদ করিমুজ্জামান নামে এক তৃণমূল (TMC) কর্মীর নাকে ঘুষি মেরে নাকি তাঁর নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি বীরভূমের মুরারই ২ ব্লকের পাইকর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের কাশিমনগরে। অভিযোগের তির তৃণমূল নেতা আব্দুল হান্নানের ছেলে নুর আলমের দিকে।
জানা গিয়েছে, এদিন পাইকর ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের একটি বৈঠক ছিল। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, কাদের কাদের পঞ্চায়েতে প্রার্থী করা যেতে পারে। বৈঠকে এলাকার দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের কাছ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম জানতে চাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ই মহম্মদ করিমুজ্জামান পছন্দের প্রার্থী হিসেবে নুর আলমের বদলে অন্য একজনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। আর তাতেই চটে গিয়ে নুর আলম ওই তৃণমূল কর্মীর নাকে ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর আহত ওই তৃণমূল কর্মীকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
আক্রান্ত ওই নেতা বলছেন, “তাঁরা নিজেরা প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রত্যেককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিল। আমি একটু প্রতিবাদ করায়, ঘুষি মেরে আমার নাক ফাটিয়ে দিয়েছে।” যদিও তৃণমূল নেতা আব্দুল হান্নানের ছেলে নুর আলম জানাচ্ছেন, তিনি নাকি ওই সময় সেখানে ছিলেনই না। বললেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। আমি সেখানে ছিলাম না।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে বিজেপি শিবির খোঁচা দিতে ছাড়ছে না। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বলছে, “কেষ্ট মণ্ডল বলেছিলেন খেলা হবে, ভয়ঙ্কর খেলা। আর আজ পঞ্চায়েতের জন্য প্রার্থী তৈরি করতে গিয়ে খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। সবে তো শুরু, একজন মাত্র হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। প্রতিটি বুথে বুথে প্রার্থী তৈরি করতে গিয়ে তৃণমূলে তৃণমূলে রক্তের খেলা হবে।”