‘ফুটবল খেলা দেখেন না?’ বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে এসে মন্তব্য অনুব্রতর সেই ‘ভাইপো’র
Anubrata Mandal's Cousin: বিজেপি (BJP) ছেড়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগদান করলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) 'ভাইপো' সুমিত মণ্ডল। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেওয়া সুমিত মণ্ডল ওরফে বুলেট জানান, এক জায়গায় অনেকগুলো বাসন থাকলে তো ঠোকাঠুকি লাগেই।
বীরভূম: বিজেপি (BJP) ছেড়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগদান করলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ‘ভাইপো’ সুমিত মণ্ডল। এদিন বোলপুরে আরও এক দফা বিজেপি-তে ভাঙন ধরাল ঘাসফুল শিবির। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেওয়া সুমিত মণ্ডল ওরফে বুলেট জানান, এক জায়গায় অনেকগুলো বাসন থাকলে তো ঠোকাঠুকি লাগেই। তাঁর তৃণমূল-ত্যাগও ছিল তেমনই। গোটা বিষয়টাকে তিনি ফুটবল প্লেয়ারের সঙ্গে তুলনা করেন। তবে এবার অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বেই তিনি কাজ করবেন বলে জানান সেই ‘ভাইপো’।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে কার্যত দলত্যাগের হিড়িক উঠেছিল শাসক বিরোধী দুই শিবিরেই। তৃণমূল শিবিরে যেমন কংগ্রেস, বাম নেতাকর্মীরা দত ছেড়ে যোগ দিতে এসেছিলেন, তেমনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়ারও প্রবণতা প্রকট হয়েছিল। একই ছবি দেখা গিয়েছিল বীরভূম জেলাতেও। দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে ভাঙন ধরিয়েছিল বিজেপি। সে সময় জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ‘ভাইপো’ সুমিতও বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। যদিও এ নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। অনুব্রত স্পষ্ট জানিয়ে দেন তাঁর কোনও ভাইপো নেই।
বিজেপি যখন দাবি করেছিল এই সুমিত আদতে তৃণমূল জেলা সভাপতির ভাইপো, তখন বিষয়টি পুরো অস্বীকার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের কেষ্ট-র কটাক্ষ ছিল, “ওরা পাগল। পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়।” শুধু তাই নয়, পরিবারের তালিকাও তুলে ধরেন তিনি। অনুব্রত জানান, পরিবারে তাঁর নিজের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তাঁর ভাইয়েরও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। শুধুমাত্র তাঁর দাদার একটি ছেলে রয়েছে। বোলপুরে তাঁর বাড়ির পাশেই দাদার বাড়ি। কিন্তু সেই ভাইপোর এখনও রাজনীতিতে আসার বয়স হয়নি।
এদিকে একুশের ভোটের ফল ঘোষণার পর দেখা যায় নিজের গড় সুরক্ষিত রেখেছেন অনুব্রত। এর পর ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার হিড়িক শুরু হয়। এদিনও সুমিত মণ্ডল বিজেপিতে ছেড়ে তৃণমূলে এসে মন্তব্য করেন তাঁর ভুল হয়েছিল। বিজেপিতে যাওয়ার পর প্রচুর সমস্যা শুরু হয়েছিল। তাঁর কথায়, “ঘরের মধ্যে একটা বিবাদ হয়েছিল। ঘরের মধ্যে পাঁচটা বাসনপত্র থাকলে ঠোকাঠুকি লাগে। সেই ক্ষত মেরামত হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলে যে সরকার তার শুদ্ধিকরণ হয়েছে। পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে ফেরানো হচ্ছে।” বললেন সেই পথের সাথী হতে তিনি আবার তৃণমূলে চলে এলেন।
তিনি আরও যোগ করেন, উন্নয়নের কাণ্ডারী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে এখন উন্নয়নের শরিক হতে চান। কিন্তু কেন আবার দলবদল? সুমিতের কথায়, “ফুটবল খেলা দেখেন না? যে দলের হয়ে ফুটবলাররা খেলেন সেই দলে ‘বেস্ট এফোর্ট’ দেন। আমিও চেষ্টা করেছি। খেলায় হারজিত থাকে। হয়েছে। তবে এখন তৃণমূলেও চেষ্টা করব সেই ‘বেস্ট এফোর্ট’-টা দেওয়ার।”
এদিন বোলপুরের কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহের বলেন, “আজ বিজেপি নেতা সুমিত মণ্ডল তৃণমূলে যোগদান করলেন। বিজেপিতে ভুল বুঝে গিয়েছিলেন। বিজেপি দলটা তো মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাঁকে নষ্ট করে দেয়। আজ সুমিত তাঁর ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে যোগদান করল।” তবে এই গোটা ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আরও পড়ুন: ৫০-এর বেশি নাবালিকার বিয়ে রুখে নিজে মালা পরালেন ষোড়শীকে! গ্রেফতার আধিকারিক